Home

Brands

Absolute New York

ABNY

NAUTICA VOYAGE

NAUTICA VOYAGE

DAVID BECKHAM

DAVID BECKHAM

Pierre Cardin

Pierre Cardin

VIVA LA JUICY

VIVA LA JUICY

VIKTOR & ROLF

VIKTOR & ROLF

FERRARI

FERRARI

DOLCE & GABBANA

DOLCE & GABBANA

ARMAF

ARMAF

J.Cat

J.Cat

GIORGIO ARMANI

GIORGIO ARMANI

AZZARO

AZZARO

ANTONIO

ANTONIO

CK

CK

note

Note

Wet n Wild

Wet n Wild

MARC JACOBS

MARC JACOBS

RALPH LAUREN

RALPH LAUREN

AFNAN

AFNAN

HUGO

HUGO

BENTLEY

BENTLEY

Kodomo

Kodomo

No Brand

Safwah Jewellery

Farmasi

Farmasi

BRITNEY SPEARS

BRITNEY SPEARS

Rajkonna

Rajkonna

ELIE SAAB

ELIE SAAB

VICTORIA’S SECRET

VICTORIA’S SECRET

Revolution

Revolution

Skin Cafe

Skin Cafe

Zact

Zact

GIVENCHY

GIVENCHY

Clariss

Clariss

CAROLINA HERRERA

CAROLINA HERRERA

buy-one-get-1-free

BUY ONE GET 1 FREE

MANCERA

MANCERA

L.A. Girl

L.A. Girl

GUCCI

GUCCI

RASASI

RASASI

Focallure

Focallure

Freyias

Freyias

DAVIDOFF

DAVIDOFF

JENNIFER LOPEZ

JENNIFER LOPEZ

BENETTON

BENETTON

JOHN VARVATOS

JOHN VARVATOS

The Lafz

The Lafz

Zayn Myza

Zayn Myza

LATTAFA

LATTAFA

GOOD GIRL

GOOD GIRL

buno-organic

Buno Organic

ELIZABETH ARDEN

ELIZABETH ARDEN

PACO RABANNE

PACO RABANNE

DUNHILL

DUNHILL

CACHAREL

CACHAREL

COACH

COACH

ESCADA

ESCADA

TOMMY HILFIGER

TOMMY HILFIGER

JAGUAR CLASSIC

JAGUAR CLASSIC

Milani

Milani

LALIQUE

LALIQUE

Guerniss

Guerniss

Pink Flash

Pink Flash

GUY LAROCHE

GUY LAROCHE

Alix Avien

Alix Avien

MONT BLANC

MONT BLANC

PRADA

PRADA

safwah

Safwah

Lilac

Lilac

ISSEY MIYAKE

ISSEY MIYAKE

Nirvana Color

Nirvana Color

JIMMY CHOO

JIMMY CHOO

Diva's secret

Diva's secret

Pastel

Pastel

VERSACE

VERSACE

Skinpro

Skinpro

Flormar

Flormar

Groome

Groome

OLYMPEA

OLYMPEA

JEAN PAUL

JEAN PAUL

YVES SAINT LAURENT

YVES SAINT LAURENT

coral

Coral

Article

আপনার ত্বককে সুন্দর করবে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড

হায়ালুরনিক অ্যাসিড কি?হায়ালুরনিক অ্যাসিড প্রাকৃতিক ভাবে শরীরে উৎপন্ন হয়। এটি ত্বক এবং চোখের মধ্যে পাওয়া যায়। এর কাজ টিস্যুকে ময়শ্চারাইজ করার জন্য ত্বকে পানি ধরে রাখা। হায়ালুরনিক অ্যাসিড কিভাবে কাজ করে?হায়ালুরনিক অ্যাসিড পানিকে আবদ্ধ করে, এবং একটি জেলের মতো পদার্থ তৈরি করে, যা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ইলাস্টিন এবং কোলাজেন ফাইবারের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে ত্বকের ফাইন লাইনস এবং রিঙ্কেলস কমিয়ে আনে। এটি ত্বকের তারুণ্য ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে। হায়ালুরনিক অ্যাসিড ত্বকের জ্বালাভাব কমিয়ে এবং রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে।                                                                               কেন আমাদের হায়ালুরনিক অ্যাসিড সিরাম প্রয়োজন?বয়সের সাথে সাথে শরীরে হায়ালুরনিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমতে থাকে, যা রিঙ্কেলস এবং ফাইন লাইন্সের কারন। হায়ালুরনিক অ্যাসিড ত্বকের তারুণ্যভাব ও সুস্থতা বজায় রাখে এবং ত্বকের বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে বিলম্ব করে। হায়ালুরনিক অ্যাসিড সিরামের উপকারিতা? ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে ত্বকের টেক্সচার এবং টোন উন্নত করেঅ্যান্টি-রিঙ্কেল এবং অ্যান্টি-এজিংসূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করেব্রণ কমাতে সাহায্য করে                                                                                         ZM Hyaluronic Acid 1.5% & 24k Gold Face Serum কিনতে ক্লিক করুন।          Lafz Radiance Boost Face Serum - Hyaluronic Acid 2% কিনতে ক্লিক করুন। কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কি? হায়ালুরনিক অ্যাসিড প্রাকৃতিক ভাবে শরীরে উৎপন্ন হয়, তাই এটি ব্যবহারে কোন অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হওয়ার সুযোগ একেবারেই কম। আপনি যদি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভব করেন তার কারন হলোঃ পণ্যের অন্যান্য উপাদান বা আপনি কত ঘন ঘন ব্যবহার করছেন বা হায়ালুরনিক অ্যাসিডের ঘনত্ব যদি বেশী হয়।                                                                                                                                                                ZM Cocoa Coffee Moisturizing Cream কিনতে ক্লিক করুন।এটি কিভাবে ব্যবহার করতে হয়? আপনার মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে আলতোভাবে মুছে নিন। পুরো মুখ এবং ঘাড়ে ২-৩ ফোঁটা সিরাম লাগান। সিরাম শোষিত না হওয়া পর্যন্ত আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। সিরাম প্রয়োগের পরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুবার ব্যবহার করুন। এটি সকল ধরনের ত্বকে ব্যবহার করা যায়। নারী ও পুরুষ উভয়ই হায়ালুরনিক অ্যাসিড সিরাম ব্যবহার করতে পারে। 
Read more

গরমে ছেলেদের ত্বকের যত্ন

আধুনিক যুগে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে ছেলেদের ত্বকের যত্ন নেয়া অপরিহার্য। ছেলেদের ত্বকের যত্নের জন্য কিছু টিপস হলঃ ফেসওয়াশ ব্যবহারমুখ ধোওয়ার জন্য ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত এবং সপ্তাহে অন্তত দুদিন স্ক্র্যাব করা উচিত। এই গরমে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করলে, মুখের ত্বকে যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্রে ময়লা জমে তা থেকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না এবং এতে ব্রণের সমস্যারও সমাধান হবে। তাই প্রতিদিন অবশ্যই দুইবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। তাতে এই গরমে মুখ থাকবে ফ্রেশ, মন থাকবে ফুরফুরে।                                                                                                                                                                ZM Tea Tree & Salicylic Acid Foaming Facewash - For Men কিনতে ক্লিক করুন ।সানস্ক্রিনও জরুরিএই গরমে সূর্যরশ্মির হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে অবশ্যই নিজেকে যতটা পারেন, ঢেকে রাখুন, প্রয়োজনে ছাতা ব্যবহার করুন। আর হাতের পাতা, ঘাড়, মুখ এবং ত্বকের যে সব অংশ খোলা থাকে ও রোদের সংস্পর্শে আসে সেসব অংশে রোদে বের হবার আগে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিতে কিছুতেই ভুলবেন না। প্রখর রোদের বেগুনিরশ্মির ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে বাইরে বেরোলেই চাই সানস্ক্রিন। ব্রড-স্পেকট্রাম, ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট, এসপিএফ থারটি রয়েছে, এমন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখুনসাধারণত ত্বক শুষ্ক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ত্বকের নানা সমস্যা বাড়তে থাকে। এ জন্য হালকা প্রকৃতির ময়শ্চারাইজার ব্যবহার খুব জরুরি। এটি যে শুধু ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখে, তা নয়। ত্বকে বয়সের ছাপও পড়তে দেয় না। ময়শ্চারাইজার ব্যবহারের সবচেয়ে ভালো সময় গোসল ও শেভ করার পর।                                                                                                                                                                             ZM Cocoa Coffee Moisturizing Cream কিনতে ক্লিক করুন । সঠিক পদ্ধতিতে শেভযারা নিয়মিত শেভ করেন, তাদের কিছু বিষয় মেনে চলা উচিত। যেমন সঠিক পদ্ধতিতে শেভ না করলে রেজার বার্ন বা রেজার বাম্পের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের সমস্যা এড়াতে সিঙ্গল বা ডাবল ব্লেড রেজার ছেড়ে মাল্টি ব্লেড রেজার ব্যবহার করা উচিত। পানি পান করুনএই গরমে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন যা আপনার শরীর ও ত্বককে হাইড্রেটেড রাখবে। পানি পানের পাশাপাশি এই সময়ে ডাব, ফলের রস খেতে পারেন। 
Read more

ত্বকের যত্নে রেটিনল সিরাম

রেটিনল কী?রেটিনল হলো ভিটামিন এ, যা ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত হয়। রেটিনল সিরাম ত্বকে কিভাবে কাজ করে?ত্বককে সুস্থ রাখতে ত্বকে কোলাজেনের ভূমিকা অন্যতম। যখন ত্বকের কোলাজেনগুলা ফ্রি রেডিকাল দ্বারা ধ্বংস হয় অথবা বয়স বাড়ার সাথে সাথে কোলাজেনের পরিমান কমে যায় বা অন্য কোন কারণে কোলাজেন ভালোভাবে কাজ করে না তখন ত্বকের বিন্যাসে ত্রুটি দেখা দেয়। এমন অবস্থায় ত্বকে সেবাম অতিরিক্ত হারে উৎপন্ন হয় যা তৈলাক্ত ত্বক, ব্রণ ও অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি করে। যখন রেটিনল ত্বকে ব্যবহার করা হয় তখন রেটিনল এর ক্ষুদ্র মলিকিউলসগুলো ত্বকের উপরের ভাগ থেকে গভীরে শোষিত হয়। এটি ফ্রি রেডিক্যালসগুলো সরিয়ে কোলাজেন, ইলাসটিন ও ত্বকের নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। ফলে এটি ত্বকে ব্রণ, ফাইন লাইনস, রিংকেলস ও পোরস কমায় ও পুনরায় হওয়া থেকে বাধা দেয়। এছাড়াও, এটি ত্বকে নতুন রক্তনালী তৈরীতে সাহায্য করে, যা ত্বকের কালো দাগ কমাতে সহায়তা করে।                                                                                                                                        Clariss Face Wash Lemon কিনতে ক্লিক করুন                               Clariss Face Wash Neem কিনতে ক্লিক করুনরেটিনল সিরাম ব্যবহার করার উপকারিতা:ব্রণ কমায়ব্রণের দাগ ও মুখের কালো দাগ কমায়ত্বকের তৈলাক্ত ও চিটচিটে ভাব কমায়ফাইন লাইন্স ও রিংকেলস কমায়ত্বকের উজ্জ্বল করে এবং ত্বকের টোন সমান করে রেটিনল সিরাম কিভাবে ব্যবহার করবেন:মুখ ধুয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর সিরামের ২-৩ ফোটা সম্পূর্ন মুখে লাগান ।যতক্ষণ পর্যন্ত সিরাম মুখে শোষিত না হচ্ছে উপরের দিকে ও সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করুন। এরপর ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার করুন। এটি রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ব্যবহার করুন। দিনে অবশ্যই সান স্ক্রিন ব্যবহার করুন। এটি ব্যবহারে রাতারাতি সফলতা আসবে না, ফলাফল পেতে এটি অন্ততপক্ষে টানা ৩ মাস ব্যবহার করুন।                                                                                                                                                                                          ZM Retinol Face Serum with Rosehip Extracts কিনতে ক্লিক করুনরেটিনলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:আমেরিকার খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন (USFDA) রেটিনল সিরামকে ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে, তবে গর্ভাবস্থায় এবং বাচ্চাকে স্তন্যপান করানোর সময়কালীন রেটিনল সিরাম প্রয়োগ করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। রেটিনল সিরামের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো শুষ্কভাব, লালচে ত্বক, চামড়া উঠা এবং চুলকানি।                                                                                                                                                                                        Skin Cafe Sunscreen Spf 50 Pa+++ Lightweight & Non-Greasy কিনতে ক্লিক করুনরেটিনলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিভাবে নিয়ন্ত্রন করবেন:প্রতিদিনের পরিবর্তে প্রথমে কয়েকদিন পর পর ব্যবহার করুন, তারপর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না দিলে এটির ব্যবহার বাড়িয়ে দিন। প্রথমে খুব কম ঘনত্বে ব্যবহার করুন, তারপর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না দিলে এটির ঘনত্ব বাড়িয়ে দিন।মুখ ধুয়ার পরে রেটিনল সিরাম ব্যবহার করার আগে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।যদি আপনার ত্বক রোদে পোড়া বা কাটাছেড়া বা অন্য জ্বালা-পোড়ার সমস্যা থাকে তবে রেটিনল সিরাম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।SPF 30 যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন এবং সূর্যের সংস্পর্শ কমাতে সূর্য থেকে সুরক্ষামূলক পোশাক এবং টুপি পরুন।এটি শুধুমাত্র রাতে ব্যবহার করুন।
Read more

The Ultimate Menopause Skincare Routine for Radiant Skin

Menopause is a normal stage of a woman's life that marks the end of her reproductive years. It offers insight and freedom, but it also causes profound changes in our bodies, especially our skin. Menopause's hormonal swings can cause dryness, fine wrinkles, and other skin issues, leaving many women disappointed and looking for remedies.Anyone can restore her skin's natural beauty and radiance with the right information and a devoted skincare program. These skin changes might affect your self-esteem and confidence, making you feel less beautiful and lively.  Your glowing, healthy skin reflects your inner beauty and power if you follow this thorough skincare strategy. Hormonal Changes During Menopause Menopause is mostly caused by hormonal changes, namely a drop in estrogen levels. The hormonal swings have a profound impact on your skin. It loses elasticity and moisture retention. As your estrogen levels drop, you may find that your skin becomes drier, more sensitive, and more prone to fine lines and wrinkles.These changes might be discouraging and influence your self-esteem. Understanding the hormonal changes is the first step toward resolving these issues. While you can't go back in time, you can change your skincare regimen to nurture and renew your skin.Skincare for Mature SkinThe demands of mature skin differ from those of younger skin. As you approach menopause, you should modify your skincare routine to meet these new needs.Neglecting these requirements might result in a dull complexion and hasten the aging process. Choose skincare products created exclusively for aged skin to maintain your skin healthy and bright.Wrinkle Reduction in MenopauseWrinkles often become more pronounced during menopause due to the loss of collagen and changes in skin texture. Collagen, a protein responsible for skin elasticity, tends to decrease during menopause. As a result, these wrinkles can make you appear older and your skin may lose its youthfulness and self-confidence.Natural Skincare During MenopauseNatural skincare products and ingredients can be a valuable addition to your routine, providing nourishment and support for your skin.Not taking advantage of these natural remedies might mean missing out on their benefits. Explore the benefits of incorporating natural elements into your skincare regimen and discover simple DIY solutions for menopausal skin.The Core Components of Menopause SkincareYour menopause skincare routine should include these essential components:Cleanser: Start with a gentle, hydrating cleanser to remove impurities without stripping your skin of natural oils.Serum: Incorporate a serum rich in antioxidants and hydrating ingredients to combat dryness and signs of aging.Moisturizer: Choose a moisturizer that provides long-lasting hydration, and consider products labeled "for mature skin."Sunscreen: Sun protection is vital. Use a broad-spectrum sunscreen with at least SPF 30 to shield your skin from harmful UV rays. Creating Your Personalized Menopause Skincare Routine  1. Morning Routine: - Gentle clean face with a cleanser.    - Apply a serum that addresses your specific skin concerns.  - Follow with a moisturizer suited for mature skin. - Finish with sunscreen.2. Evening Routine:  - Start with a gentle cleanser.   - Apply a nighttime serum that targets signs of aging or hyperpigmentation.  - Use a rich night cream to lock in moisture.Hydration and Menopausal SkinHydration is key to healthy, radiant skin, and maintaining it during menopause is crucial. Neglecting to moisturize your skin can lead to dryness, flakiness, and a dull complexion. Discover the importance of hydration in your skincare routine and learn how to select the right products to maintain skin moisture. Menopause Skincare ProductsWithout guidance, you may spend money on products that don't effectively address your skin concerns. Choosing the right skincare products can be overwhelming, given the abundance of options on the market. In this section, we'll recommend specific products that have proven effective for menopausal skin, catering to different budgets and preferences.CleanserSerumMoisturizerSunscreenNight CreamMenopause Skincare Tips Effective skincare requires a holistic approach, with attention to details that can make a significant difference. Without these practical tips, you might not achieve the desired results. In this section, we'll provide valuable tips and tricks to enhance your menopause skincare routine for the best outcomes. Elasticity and Menopausal Skin Maintaining skin elasticity is a key concern during menopause, as the loss of firmness can impact your appearance. Without a plan to address this, you may struggle with sagging skin and related confidence issues. Healthy Aging Skin Care The way you care for your skin during menopause can significantly impact the aging process. Neglecting your skin's needs might mean missing out on an opportunity to age gracefully. Conclusion Menopause is a normal and transforming stage in a woman's life, characterized by hormonal changes that might influence her skin. Menopause-related hormonal changes can cause dryness, fine wrinkles, and other skin issues. However, with the appropriate skincare regimen, you can keep your skin glowing and healthy during this change.  Menopause doesn't have to mean sacrificing bright and healthy skin. You can keep your skin's natural beauty by recognizing the hormonal shifts and implementing a specialized menopausal skincare plan. Remember to stick to your routine and get individualized guidance from a dermatologist. Accept this stage of your life with confidence and radiant skin.
Read more

Unlock the Secret Winter Skincare Tips and Tricks

Winter is approaching.  People are already suffering from thousands of skin problems.  There are some reasons for that.  So much pollution dust, and smoke will affect the skin.The roughness increases many times during winter.  The problem of cracked skin is eternal.  Apart from this, problems like skin eruption, skin flaking, and eczema are also seen.  But if the skin can be taken care of before winter, then skin cracks and other such winter problems can be saved a lot.Why is skin care during winter important?Winter skincare is like preparing your skin for hibernation. It needs extra care to survive the cold. Due to the temperature drop, your skin also changes. Winter's cold, dry air can strip away your skin's natural moisture, leaving it dry, flaky, and more prone to irritation. The skin's protective barrier weakens, making it susceptible to damage. According to the American Academy of Dermatology, about 81% of individuals experience an increase in skin issues during the winter months.What should we apply as skin care during winter?Good skincare is essential, especially during the winter months. Your skin is your body's largest organ, and taking good care of it means taking good care of your overall health. In winter, skincare should revolve around hydration, protection, and repair. Proper winter skin care is essential to safeguard your skin from these harsh elements and maintain its health and radiance.Tips to follow for Winter skincare Winter is a beautiful season filled with cozy sweaters, hot beverages, and the magic of snowfall. However, it's also a time when your skin requires extra attention and care. But don't worry, we're here to reveal the best-kept secrets of winter skincare that will help you look and feel your best all season long.Moisturize in the day & nightA reliable moisturizer is your best companion during the winter. Start your day with a hydrating moisturizer, and choose a richer one for the night to seal in moisture.Use an SPFDon't be deceived by the chilly weather – UV rays are still at play. Apply a broad-spectrum sunscreen daily to shield your skin from these damaging rays.Stay hydrated with waterHydration isn't just about products; it starts from within. Drinking plenty of water helps keep your skin well-hydrated from the inside out.Avoid hot showerWhile it's tempting to soak in a hot bath or shower, it can strip your skin of its essential oils.More than lip balmsChapped lips are a common winter woe. Choose a lip balm with ingredients like shea butter, beeswax, or coconut oil for maximum protection.Daily Skincare For Winter According To Different Types of SkinSkincare is a personal journey. What works for someone else may not work for you. It's all about understanding your unique skin type and needs.Your winter skincare routine should be tailored to your specific skin type:Winter Skincare Tips for Normal SkinNormal skin is balanced and doesn't lean too oily or too dry. To maintain its health and vibrancy during the winter months, consider the following tips:Gentle Cleansing: Use a mild, hydrating cleanser to remove impurities without over-drying your skin.Toner: Apply an alcohol-free, hydrating toner to maintain your skin's pH balance and prepare it for the next steps in your routine.Hydration: Incorporate a hyaluronic acid serum to lock in moisture. Hyaluronic acid can hold up to 1,000 times its weight in water, making it ideal for maintaining hydration.Moisturizer: Opt for a lightweight, non-comedogenic moisturizer to seal in the serum and provide hydration without making your skin feel greasy.Sunscreen: Even during winter, don't forget to use a broad-spectrum SPF 30 or higher to protect your skin from UV damage.Winter Skincare Tips for Dry SkinDry skin craves hydration and moisture, especially during the winter when it's more prone to flakiness and tightness. Here are some winter skincare tips for dry skin:Creamy Cleanser: Use a hydrating, creamy cleanser to gently remove impurities without stripping your skin of its natural oils.Alcohol-Free Toner: Apply an alcohol-free toner with ingredients like glycerin or rose water to add extra hydration.Hyaluronic Acid Serum: Incorporate a hyaluronic acid serum to boost moisture retention.Rich Moisturizer: Opt for a rich, emollient moisturizer that provides a protective barrier to lock in hydration and prevent moisture loss.Sunscreen: Don't skip sunscreen, even on cloudy days. UV rays can still damage dry skin.Humidifier: Consider using a humidifier in your home to add moisture to the indoor air, which can alleviate dryness.Winter Skincare Tips for Oily SkinOily skin requires careful balance during winter to prevent excessive oiliness without over-drying. Here are some tips for a winter skincare routine for oily skin:Gel Cleanser: Use a gentle, foaming gel cleanser to remove excess oil and impurities without over-drying.Astringent Toner: Apply a toner with astringent properties like witch hazel to help control excess oil.Oil-Free Serum: Choose an oil-free serum with ingredients like salicylic acid or niacinamide to address specific skin concerns.Lightweight Moisturizer: Opt for a lightweight, oil-free moisturizer to provide adequate hydration without feeling heavy.Sunscreen: Even oily skin needs sun protection. Use a non-comedogenic, matte-finish sunscreen.Winter Skincare Tips for Combination SkinCombination skin presents a unique challenge during winter as it can be both dry and oily in different areas. Here's how to balance both aspects:Cleanser: Use a gentle, pH-balanced cleanser to cleanse your face without over-drying any specific areas.Hydrating Toner: Apply a hydrating toner to keep your skin balanced.Serums: Customize your serum selection based on your skin's specific needs. For dry areas, use a hydrating serum, and for oily areas, use a lightweight, oil-free serum.Lightweight Moisturizer: Apply a lightweight, non-comedogenic moisturizer to keep your skin hydrated without exacerbating oiliness.Sunscreen: As always, use sunscreen to protect your skin from UV damage.Best skincare product for the winter seasonThe star of the winter skincare season is undeniably a top-quality, hydrating moisturizer. Select products that contain ingredients such as hyaluronic acid, glycerin, and ceramides. These elements lock in moisture, reinforce your skin's protective barrier, and keep it nourished throughout the winter. According to a survey conducted  48% of respondents stated that moisturizer is their most essential winter skincare product. Conclusion As you embrace the winter season's charm, don't forget that your skin deserves attention and care. Consistency is key to maintaining healthy and radiant skin. Tailor your skincare routine to your skin type, use the right products, and keep your body well-hydrated to face the cold months confidently. By unlocking the secrets of winter skincare, you can enjoy the beauty of the season without worrying about your skin's health.
Read more

Breast Cancer Awareness

কেন স্তন ক্যান্সার সচেতনতা এত গুরুত্বপূর্ণ?বিশ্বে প্রতি আটজনের মধ্যে একজন নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন।বাংলাদেশেও বাড়ছে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএআরসি'র হিসেবে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৩ হাজারের বেশি নারী নতুন করে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। মারা যান ৬৭৮৩ জন। নারী ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে ১৯% স্তন ক্যান্সারে ভোগেন। বাংলাদেশে নারীরা যেসব ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে স্তন ক্যান্সার শীর্ষে রয়েছে।স্তন ক্যান্সার কি?স্তনের কিছু কোষ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে, ওই অনিয়মিত ও অতিরিক্ত কোষগুলো বিভাজনের মাধ্যমে টিউমার বা পিণ্ডে পরিণত হয়। সেটি রক্তনালীর লসিকা (কোষ-রস) ও অন্যান্য মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এই ছড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতাই ক্যান্সার। চিকিৎসকদের মতে, যেকোন নারীই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন। ত্বকের ক্যান্সার ছাড়া মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার সবচেয়ে সাধারণ ক্যান্সার।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন মহিলার জীবনে তার স্তন ক্যান্সার হওয়ার গড় ঝুঁকি প্রায় ১২%, বা ৮ জনের মধ্যে ১জন।  একজন মহিলার স্তন ক্যান্সারে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ২.৬%, বা ৩৮ জনের মধ্যে ১জন।স্তন ক্যান্সারের কিছু লক্ষণ ও উপসর্গ প্রতিটি মহিলার জানা উচিত যে তার স্তনগুলি সাধারণত কেমন দেখায়, সে কেমন অনুভব করে এবং যাতে কোনো পরিবর্তন ঘটলে সে চিনতে পারে। এখন একজন মহিলার নিয়মিত ম্যামোগ্রাম এবং ক্লিনিকাল স্তন পরীক্ষা করা উচিত, কারণ এই পরীক্ষাগুলি দ্বারা উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগেই স্তন ক্যান্সার সনাক্ত করা যায়।স্তন ক্যান্সারের লক্ষণগুলোর মধ্যে স্তনে বা আন্ডারআর্মে পিণ্ড (বগল)স্তনের সমস্ত বা অংশবিশেষ ফুলে যাওয়া বা ঘন হওয়াস্তনের ত্বকে ডিম্পলিং বা ত্বকের জ্বালাস্ক্রমাগত স্তনে ব্যথাস্তনের বোঁটা বা স্তনের ত্বকের লালভাব, আঁশ বা ঘন হয়ে যাওয়াস্তনের স্রাব (স্তনের দুধ ছাড়া)স্তনের আকার বা আকৃতিতে পরিবর্তনস্তন ক্যান্সারের পরীক্ষা নিরীক্ষাসাধারণত তিনটি পরীক্ষার সাহায্যে স্তন ক্যান্সার সনাক্ত করা হয়।  প্রত্যেকের কিছু নিজস্ব সুবিধা এবং ঝুঁকি রয়েছে।  মহিলাদের উচিত পরীক্ষার নিরীক্ষার আগে সেরা বিকল্প হিসেবে তাদের ডাক্তারের সাথে কথা বলা১.  ম্যামোগ্রাম: এটি হল স্তনের একটি এক্স-রে পরীক্ষা যা স্তনের পরিবর্তনগুলি সনাক্ত এবং মূল্যায়ন করতে ব্যবহৃত হয়।  এর সনাক্তকরণ ক্ষমতা টিউমারের আকার এবং স্তনের টিস্যুর ঘনত্বের উপর নির্ভর করে।  ত্রিমাত্রিক (3D) ম্যামোগ্রাফি হল এক ধরনের ডিজিটাল ম্যামোগ্রাফি যেখানে এক্স-রে মেশিনগুলি বিভিন্ন কোণ থেকে স্তনের পাতলা টুকরোগুলির ছবি তোলার জন্য ব্যবহার করা হয় এবং একটি ছবি পুনর্গঠনের জন্য কম্পিউটার সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা হয়।  ২. আল্ট্রাসাউন্ড: স্তনের আল্ট্রাসাউন্ড প্রায়ই ম্যামোগ্রাফির সাথে ব্যবহার করা হয় উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ মহিলাদের জন্য যারা এমআরআই করাতে পারেন না, এবং ঘন স্তনের টিস্যুযুক্ত মহিলাদের জন্য।  ৩.এমআরআই:  স্তন এমআরআই (চৌম্বকীয় অনুরণন ইমেজিং) উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ মহিলাদের স্ক্রীন করতে এবং ম্যামোগ্রাম বা আল্ট্রাসাউন্ডে পাওয়া সন্দেহজনক এলাকা সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকির কারণ স্তন ক্যান্সারের প্রধান ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে একজন মহিলা হওয়া এবং বয়স্ক হওয়া (বেশিরভাগ স্তন ক্যান্সার 55 বছর বা তার বেশি বয়সী মহিলাদের মধ্যে পাওয়া যায়)।  ঝুঁকি বাড়াতে পারে এমন অনিয়ন্ত্রিত কারণগুলির মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত/পারিবারিক ইতিহাস, জাতি, স্তনের ঘনত্ব এবং মাসিকের ইতিহাস।  এছাড়াও, নির্দিষ্ট স্তন ক্যান্সারের জিনের পরিবর্তন (BRCA1 এবং BRCA2) স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়াও কিছু ঝুঁকির কারণ জীবনযাত্রার সাথে সম্পর্কিত, যার মধ্যে রয়েছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের ব্যবহার, মেনোপজের পরে হরমোন থেরাপি, অতিরিক্ত সন্তান ধারণ করা, অ্যালকোহল পান করা, অতিরিক্ত ওজন বা স্থূল হওয়া এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকা। স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর উপায় একটি সুস্থ জীবনযাপন করতে হবে।অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি এড়াতে শারীরিক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত হতে হবে। খাদ্য গ্রহণের ভারসাম্য বজায় রাখা উচিত। নিয়মিত স্তনের যত্ন নিতে হবে। শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে হবে।  প্রতি সপ্তাহে, কমপক্ষে  ৩ ঘণ্টা হাঁটতে হবে। অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতে হবে।  উপসংহার: স্তন ক্যান্সার একটি বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য উদ্বেগ যা প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ নারী এবং তাদের পরিবারকে প্রভাবিত করে। স্তন ক্যান্সার সচেতনতা, সনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধের উপায় জানা থাকলে বেচে যাবে অনেক মা বোনের জীবন। এইজন্য সকল মা বোনদের স্তন ক্যান্সার বিষয়ে সচেতন করা উচিত।
Read more

নিপাহ ভাইরাস সচেতনতা

নিপাহ ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পেতে সচেতনতাসাম্প্রতিক বছরগুলোতে, পুরো বিশ্ব বেশ কয়েকটি সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি হয়েছে, যার ফলে ব্যাপক আতঙ্ক ও মানুষের জীবনে হুমকি সৃষ্টি হয়েছে।  এই হুমকিগুলির মধ্যে, নিপাহ ভাইরাস একটি বিশেষভাবে আলোচিত এবং মারাত্মক ভাইরাস হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।  যদিও নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব তুলনামূলকভাবে খুব কম, তবুও তারা জনস্বাস্থ্য এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন। নিপাহ ভাইরাসের উৎপত্তি নিপাহ ভাইরাস (NIV) প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল 1999। এটি মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে শূকর এবং মানুষের মধ্যে রোগের প্রাদুর্ভাবের পরে আবিষ্কৃত হয়।  এই প্রাদুর্ভাবের ফলে প্রায় 300 জন মানুষের ঘটনা ঘটে এবং 100 টিরও বেশি মৃত্যু ঘটে এবং একটি উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রভাব সৃষ্টি করে কারণ প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার জন্য 1 মিলিয়নেরও বেশি শূকরকে হত্যা করা হয়েছিল। যদিও 1999 সাল থেকে মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে এনআইভি-এর অন্য কোন প্রাদুর্ভাব ঘটেনি, তখন থেকে এশিয়ার কিছু অংশে প্রায় বার্ষিক প্রাদুর্ভাব রেকর্ড করা হয়েছে - প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশসহ বাংলাদেশ এবং ভারতে।  এই প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ভাইরাসটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে, যা বিশ্বব্যাপী মহামারী সৃষ্টি করার জন্য NiV-এর সম্ভাব্যতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায়। ভাইরাসটির নামকরণ করা হয়েছে মালয়েশিয়ার সুঙ্গাই নিপাহ গ্রামের নামে, যেখানে এটি প্রাথমিকভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল।নিপাহ ভাইরাস যেভাবে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ায়নিপাহ ভাইরাস হচ্ছে এমন একটি ভাইরাস যা সাধারণত বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। ভাইরাসটি প্রাথমিকভাবে শুকর বা বাদুড়কে  সংক্রমিত করে এবং সংক্রমিত বাদুড়, তাদের শারীরিক তরল দ্বারা  ফল দূষিত করে বা খাদ্যদ্রব্যের সাথে সরাসরি মেশার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ হয়। কোনো ব্যক্তি সংক্রমিত হলে তার সংস্পর্শে থাকা অন্যজনেরও সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।। তবে এই ভাইরাসটির প্রধান বাহক হল বাদুড়। বাংলাদেশ আর ভারতে মূলত কাঁচা খেজুরের রস থেকে নিপাহ ছড়ায়, আর খেজুরের রসে বাদুড়ের প্রস্রাব অথবা লালা থেকে ভাইরাসটি মিশে যায়।ভাইরাসের লক্ষণগুলো নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণগুলো হালকা থেকে গুরুতর হতে পারে। এই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে মস্তিষ্কের ফুলে যাওয়া (এনসেফালাইটিস) এবং সম্ভাব্য মৃত্যু সহ হালকা থেকে গুরুতর রোগ হতে পারে। লক্ষণগুলি সাধারণত ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার 4-14 দিনের মধ্যে প্রদর্শিত হয়।  অসুস্থতা প্রাথমিকভাবে 3-14 দিনের জ্বর এবং মাথাব্যথা হিসাবে উপস্থাপন করে এবং প্রায়ই শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের মতো শ্বাসকষ্টের লক্ষণগুলি অন্তর্ভুক্ত করে।   লক্ষণগুলোর মধ্যে প্রাথমিকভাবে নিম্নলিখিত একটি বা একাধিক অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে যেমন: জ্বর মাথাব্যথা কাশি গলা ব্যথা শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া বমি গুরুতর লক্ষণগুলো মধ্যে যেমন: বিভ্রান্তি, তন্দ্রা বা বিভ্রান্তি খিঁচুনি কোমামস্তিষ্কের ফুলে যাওয়া (এনসেফালাইটিস) এই মরণঘ্যাতি ভাইরাসে 40-75% ক্ষেত্রে মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।  নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দীর্ঘমেয়াদী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে, যার মধ্যে ক্রমাগত খিঁচুনি এবং ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন রয়েছে।নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধ ব্যবস্থানিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে জনসচেতনতা, নজরদারি এবং কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন সহ বিভিন্ন পদক্ষেপের সমন্বয়ের উপর নির্ভর করে।  নিপাহ ভাইরাসের বিস্তার রোধে এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে যেমন:নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করাঅসুস্থ বাদুড় বা শুকরের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলাএমন এলাকা এড়িয়ে চলা যেখানে বাদুড় বাস করেবাদুড় দ্বারা দূষিত হতে পারে এমন পণ্য খাওয়া বা পান করা এড়িয়ে চলা যেমন কাঁচা খেজুরের রস, কাঁচা ফল বা মাটিতে পাওয়া ফলNiV সংক্রামিত বলে পরিচিত যে কোনো ব্যক্তির রক্ত ​​বা শরীরের তরলের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুনসংক্রামিত পশুদের অবিলম্বে কোয়ারেন্টাইনে রাখা শূকর খামারের সঠিক পরিচ্ছন্নতা ও জীবাণুমুক্তকরণ নিশ্চিত করুন।বাদুড় বিশ্রাম বা ঘুমানোর জন্য পরিচিত গাছ বা ঝোপ থেকে দূরে থাকা।দূষিত হতে পারে এমন খাবার এবং পানীয়ের ব্যাপারে সতর্ক থাকা, যেমন পাম স্যাপ বা ফল।  খাওয়ার আগে খেজুরের রস সিদ্ধ করা এবং ফলগুলো ভালভাবে ধুয়ে এবং খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া ।বাদুড়ের কামড় বা মাটি স্পর্শ করেছে এমন কোনো ফল ফেলে দেওয়া।ভাইরাস সংক্রমণ কার্যকরী নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং পরিচর্যাকারীদের সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য নিপাহ ভাইরাস রোগীদের সাথে কাজ করার সময় কঠোর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অনুসরণ করা উচিত।বিচ্ছিন্নতানিপাহ ভাইরাসের সন্দেহজনক বা নিশ্চিত কেসগুলো থেকে সংক্রমণ রোধ করতে আলাদা করা উচিত।  এই উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলিতে আইসোলেশন ওয়ার্ডগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।জনসচেতনতানিপাহ ভাইরাসের ঝুঁকি, এর লক্ষণ এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য।  সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সম্প্রদায়কে ভাইরাস সম্পর্কে অবহিত ও শিক্ষিত করা উচিত।টিকা নিশ্চিতকরণযদিও নিপাহ ভাইরাসের জন্য কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল চিকিত্সা নেই, ভবিষ্যতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বিকাশের আশায় ভ্যাকসিনের উপর গবেষণা চলছে।সারা বিশ্বের সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাবনিপাহ ভাইরাস, অন্যান্য উদীয়মান সংক্রামক রোগের মতো, কোন সীমানা জানে না।  এর প্রাদুর্ভাবের সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলি প্রশমিত করতে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা প্রয়োজন।  বিশ্বব্যাপী সরকার, স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলিকে কার্যকর প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কৌশল বিকাশের জন্য একসাথে কাজ করতে হবে।চিকিৎসা ব্যবস্থা বর্তমানে নিপাহ ভাইরাস (NiV) সংক্রমণের থেকে রক্ষার জন্য কোন লাইসেন্সকৃত চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই।  বিশ্রাম, হাইড্রেশন এবং উপসর্গ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসা সহ সহায়ক যত্নের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে, ইমিউনোথেরাপিউটিক চিকিৎসা (মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি) রয়েছে যা বর্তমানে এনআইভি সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য বিকাশ এবং মূল্যায়নের অধীনে রয়েছে।  এরকম একটি মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি, m102.4, ফেজ 1 ক্লিনিকাল ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে এবং এটি স্বল্প মাত্রায় ব্যবহার করা হয়েছে।  প্রাথমিকভাবে মালয়েশিয়ান এনআইভি প্রাদুর্ভাবের সময় অল্প সংখ্যক রোগীর চিকিৎসার জন্য ওষুধ রিবাভিরিন ব্যবহার করা হয়েছিল, কিন্তু মানুষের মধ্যে এর কার্যকারিতা অস্পষ্ট। উপসংহারনিপাহ ভাইরাস একটি মারাত্মক জীবাণু যা বিভিন্ন দেশে প্রাদুর্ভাব ঘটিয়েছে। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।  ভবিষ্যতের প্রাদুর্ভাব রোধে ভাইরাসের উৎপত্তি, সংক্রমণ এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  নিপাহ ভাইরাস বোঝার মাধ্যমে এবং এর সংক্রমণ কমাতে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে, আমরা ব্যক্তি এবং সম্প্রদায় উভয়কেই এই বিপজ্জনক রোগজীবাণু থেকে রক্ষা করতে পারি।  সরকার, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান এবং জনসাধারণের জন্য যেকোন সম্ভাব্য নিপা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের জন্য কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে সচেতন থাকা এবং প্রস্তুত থাকা অপরিহার্য।
Read more

ঠাণ্ডায় এলার্জিতে যেভাবে সচেতনতা অবলম্বন করবেন

শীতের মাস যত ঘনিয়ে আসছে, পৃথিবী তত তুষারাবৃত ভূমিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই এই ঋতুর সৌন্দর্যকে সাগ্রহে আলিঙ্গন করে। কিন্তু কিছু মানুষের জন্য শীতকাল দুঃস্বপ্নের নাম। কারণ তারা কোল্ড অ্যালার্জি অবস্থায় ভুগছে। ঠাণ্ডায় এলার্জি কি? কোল্ড অ্যালার্জি, বা ঠান্ডা এলার্জি হল ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক ঠাণ্ডা তাপমাত্রার সংস্পর্শে আসার ফলে শারীরিক বিভিন্ন পরিবর্তন শুরু হয়।  সহজ কথায়, ঠান্ডা অ্যালার্জিযুক্ত ব্যক্তির শরীরে চুলকানি, হাচি, কাশি এবং অন্যান্য অ্যালার্জির লক্ষণগুলো অনুভব করে যখন তাদের ত্বক ঠান্ডা বাতাসের সংস্পর্শে আসে। ঠাণ্ডা বাতাস, শীতকালীন ধুলাবালু, সিগারেটের ধোয়া, ফুলের রেণু, সুগন্ধি, তীব্র গন্ধ, পত্রিকা বা বই-খাতার ধুলা, ইত্যাদির উপস্থিতিতে অনেকের শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি বা অ্যাজমা, সর্দি-কাশি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। এগুলোও এলার্জির কারণ হতে পারে। ঠাণ্ডা অ্যালার্জি কেন হয়? মানুষের শ্বাসনালি ও নাসারন্ধ্রের স্নায়ুকোষের কিছু রিসেপ্টর আছে। এগুলো শ্বাসনালি ও কণ্ঠনালির সংকোচন ও প্রসারণ উদ্দীপ্তকারীর সঙ্গে সংযুক্ত। অ্যালার্জেনগুলো যখন শ্বাসনালির রিসেপ্টরের নার্ভ উদ্দীপ্ত করে তখন শ্বাসনালির মাংসপেশির সংকোচন ঘটে এবং শ্বাসনালি সরু হয়ে যায়। তখন ঠাণ্ডায় এলার্জি আক্রান্ত রোগীর শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি দেখা দেয়। তবে শীতকালে কেন এসব উপসর্গ বেশি হয়। ঠাণ্ডার কারণেইমিউন সিস্টেম ভুলভাবে ক্ষতিকারক পদার্থকে চিহ্নিত করে। তখন ত্বক ঠান্ডা হলে হিস্টামিন নিঃসৃত হয়, ফলে বিভিন্ন অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দেয়।এছাড়াও যাদের রক্তে এলার্জির পরিমাণ বেশি তাদের ক্ষেত্রে ঠান্ডা এলার্জি বেশি দেখা যায়। তবে কিছু কারণে এই এলার্জি শরীরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে । যেমনবিভিন্ন পশু পাখির লোমকসমেটিক্স সামগ্রীগাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়ারাস্তার ধুলাবালিএলার্জি জাতীয় খাবার যেমন ইলিশ মাছ, বোয়াল মাছ, চিংড়ি, বেগুন, হাঁসের ডিম এগুলো থেকে মানবদেহে অ্যালর্জিজনিত সমস্যাগুলো বেশি প্রকট হয়ে ওঠে।আপনার অ্যালার্জি আছে কিনা তা কিভাবে বুঝবেন? অ্যালার্জি শনাক্ত করা, ঠান্ডায় অ্যালার্জি হোক বা অন্য কোনো ধরনের এলার্জি এটি একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয় হতে পারে।  আপনি যদি ঠান্ডা তাপমাত্রার সংস্পর্শে এসে আপনার ত্বকে চুলকানি, লালভাব, ফোলা বা নাকে সুরসুরি হাচি, কাশি,সর্দি  অনুভব করেন তবে আপনার ঠান্ডায় এলার্জি হতে পারে। আপনার অবস্থা নিশ্চিত করতে একজন দক্ষ এলার্জিস্টের সাথে পরামর্শ করতে পারেন। ঠান্ডা এলার্জি বিশেষ কোনো রোগ না হলেও এটি মানুষের মাঝে সবচেয়ে বেশি বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে ।  উপসর্গনাক দিয়ে পানি পড়া,শরীরের বিভিন্ন জায়গা চুলকানো,হাচি কাশি, চোখ লাল হয়ে যাওয়াশরীরের বিভিন্ন জায়গা ফুলে যাওয়াশ্বাসকষ্ট বাঁশির মতো আওয়াজ বের হওয়া, বুক চেপে ধরা ইত্যাদি।অ্যালার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা ও করণীয় এলার্জির সমস্যায়  ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা ও বেশ  কিছু নিয়ম মেনে চললে ভাল ফল পাওয়া যায়। নিয়মিত সবুজ শাকসবজি খাওয়া। ভিটামিন সি জাতীয় ফল খেয়ে  শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। তাছাড়া এলার্জির কারণে শরীর থেকে যে রস বের হয় সেখানে ঘি লাগালে উপকার পাওয়া যায়। এলার্জির চিকিৎসা ঘি অত্যন্ত কার্যকর।  এছাড়াও অ্যালার্জি টেস্ট করে কারণ নির্ণয় করাযেসব খাওয়ারে এলার্জি আছে তা পরিহার করাঠাণ্ডা খাওয়ার না খেয়ে খাওয়ার গরম করে খাওয়াঠাণ্ডা বাতাস ও ধুলো থেকে পরিত্রাণ পেতে মাস্ক পরানিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাস এর ব্যায়াম করা।ফুলের রেণু, সুগন্ধি এগুলো এড়িয়ে চলাকোল্ড ড্রিংক, আইসক্রিম না খাওয়াঠান্ডা এবং স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ এড়িয়ে চলাঘরে কয়েল এর পরিবর্তে মশারি ব্যবহার করা এবং ধুমপান পরিহার করারুম স্প্রে ব্যবহার না করারান্নার ঝাঁঝালো গন্ধ থেকে দূরে থাকাঅ্যালার্জির রোগীরা দীর্ঘমেয়াদি সুস্থ থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শে টিকা নেওয়াসচেতনতা কখনো সম্পূর্ণরূপে এলার্জি নির্মূল করা সম্ভব হয় না। তবে ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে এলার্জির চিকিৎসা করার চেয়ে এলার্জি প্রতিরোধ করার সবচেয়ে উত্তম। তাই যদি আপনার ঠান্ডা এলার্জির সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে প্রথমে বের করতে হবে যে এই এলার্জির উৎস কোথায়? এলার্জির কারণ খুঁজে বের করে যে সকল কারনে এলার্জি জনিত সমস্যা হয়ে থাকে সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। অর্থাৎ কোন খাবার বা কোন পরিবেশের কারণে এলার্জি হচ্ছে। এরপর সেগুলো সম্পর্ক জেনে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। ঠান্ডা অ্যালার্জি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য। কারণ অনেক ব্যক্তি অসচেতন থাকার ফলে অজান্তে নীরবে এই সমস্যায় ভুগতে পারে।  ঠান্ডা অ্যালার্জির কারণ, লক্ষণ এবং করণীয় বর্জনীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে অবগত হওয়া। নিজে জেনে অন্যকে জানানো। শীতকালে অনেক সচেতন থাকা। আত্মবিশ্বাসের সাথে শীতের ঋতুকে মোকাবিলা করা। গরম কাপড় পড়া। গরম কাপড়ের উলে অনেকের এলার্জি থাকে। তাই দেখেশুনে কাপড় পছন্দ করা। উপসংহার অনেক সময় হাচি কাশি নাক দিয়ে পানি পড়লে আমরা ভাবি এলার্জি।  না অনেক সময় ঠাণ্ডা জ্বরের কারণেও এমন হতে পারে। কোল্ড অ্যালার্জি সাধারণত খুব কম। কিন্তু যাদের এ অভিজ্ঞতা আছে এটি তাদের জীবনকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তাই অনেক সচেতনতার সাথে জীবনযাপন করা উচিত। যে সকল কারণে আপনার ঠান্ডা এলার্জি হয়ে থাকে সেই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। এলার্জিজনিত খাবারগুলো পরিহার করে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা
Read more

শীতকালীন পিঠা: বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য

ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের দেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুতেও  পরিবর্তন ঘটে। কার্তিক অগ্রহায়ণ মাস হালকা হিমেল বাতাস দিয়ে জানান দেয় শীতকাল আসতে চলছে। কৃষকের মাঠ গুলো সোনালি ধানের হাসিতে ভরে ওঠে। শুরু হয় বাঙালির নবান্নের উৎসব যা চলে পুরো শীতকাল ব্যাপি। হেমন্তঋতু ও শীত ঋতু বাঙ্গালির জীবনে অনেক বেশি  প্রভার বিস্তার করে  অন্য ঋতুর তুলনায়। চারদিকে চলা নতুন ধান দিয়ে  নবান্ন উৎসবের আয়োজন এখন বাঙালির একটি সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে।বাঙালির জীবনে পিঠা ও শীতকালীন সংস্কৃতির প্রভাবশীতকালে মানে বাঙালির উৎসব উৎসব ভাব। পৌষ ও মাঘ মাস বাংলাদেশে শীতকাল হলেও নতুন চালে পিঠা খাওয়ার ধুম শুরু হয় কার্তিক মাসে নতুন ধান কাটার পর থেকেই। কার্তিকের মরা মঙ্গাকে অতিক্রম করে কৃষকের গোলা নতুন ধানে ভরে ওঠে। ভারতীয় উপমহাদেশে নতুন চালের গুড়া দিয়ে পৌষ পার্বণে  পিঠা খাওয়ার প্রচলন অনেক প্রাচীন। অগ্রহায়ণ মাসের গোলা ভরা ধান থেকে করা নতুন চাল দিয়ে গ্রামের মা চাচি দাদি নানিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন পিঠা বানানো নিয়ে যা আমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ।প্রত্যেক দেশেরই লোকজ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য থাকে। শীতের পিঠা বাংলার চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অংশ। শীত আর পিঠা একে অপরের পরিপূরক বলা যায়।শীতের সকালে রোদে বসে নতুন চালের ধোঁয়া ওড়ানো গরম গরম পিঠাপুলি খাওয়ার মজাই আলাদা। নতুন চাল, খেজুরের রসের নতুন গুড়ে টইটম্বুর পিঠা বাঙালির শীত উদ্‌যাপনকে রঙিন ও উৎসবমুখর  করে তোলে।শীতকালীন বাঙালির সংস্কৃতিবাঙালির লোকজ ইতিহাস-ঐতিহ্যে পিঠা-পুলি ভূমিকা প্রাচীনকাল থেকেই। কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর বা সন্ধ্যায় গ্রামের বধূরা পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করে। হরেক রকমের রসনাজাতীয় পিঠা পায়েস দিয়ে গ্রামের মায়েরা ব্যস্ত হয়ে পরে নতুন জামাইকে আদর আপ্যায়ন করাতে।একসময় গ্রামে গঞ্জে মেয়েদের নতুন বিয়ের পরপর শশুড়বাড়িতে গুড়-মুড়ি-চিড়ে, পান-সুপারির সঙ্গে পাঠানো হতো বিশাল ডালাভর্তি অথবা রঙিন হাঁড়িভর্তি ফুলপিঠা, পাক্কন পিঠা। কিন্তু কালের আবর্তে এখন আর সে সংস্কৃতি নেই। তবে এখন এই সময়টাতে  মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটাই সাবলীল থাকার কারণে চলে বিয়ে শাদী, সুন্নতে খাৎনা,, বড় করে গায়ে হলুদ, মুখে ভাত, অতিথি আগমনের অনুষ্ঠান। আর এসব অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সামাজিক রীতি নীতির সাথে থাকে পিঠা পুলির ব্যবহার।  আমাদের দেশে আত্মীয়স্বজন ও পারস্পরিক সম্পর্কের বন্ধনকে আরও মজবুত করতে মুখরোচক রসে টুইটুম্বর পিঠা-পুলির উৎসব বিশেষ ভূমিকা পালন করে।শীতকালীন পিঠার ঐতিহ্যপ্রত্যেক দেশেরই ঐতিহ্যবাহী কিছু মিষ্টান্ন থাকে যা তাদের খাদ্য ও সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে। বাংলাদেশ ও বাঙালির ক্ষেত্রে তা নিঃসন্দেহে পিঠা। পিঠা শুধু আমাদের জন্য  লোকজ খাবারই নয়, পিঠা আমাদের বাঙালির স্মৃতি ও লোকজ সংস্কৃতির  ভাণ্ডার ও ঐতিহ্যও বটে। প্রাচীন বাংলায় মিষ্টান্ন হিসাবে পিঠার জনপ্রিয়তাই ছিল সবচেয়ে বেশি। আমাদের দেশে শীতে মানেই আবহমান বাঙালি সংস্কৃতি পিঠা-পুলির উৎসব। শীত মানেই গরম গরম ধোঁয়া ওঠা পিঠাপুলি, ক্ষির-পায়েস খাওয়ার ধুম। শীতের পিঠা পুলির গোড়াপত্তন গ্রামে হলেও এটি বাঙালির শেকড়ের আদি ঐতিহ্য। একসময় শুধুমাত্র শীতের পিঠার জন্য শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার রেওয়াজ ছিল। কিন্তু এখন পরিবারের  সবাই মিলে সে পিঠা খাওয়ার সেই উৎসব রীতি অনেকটাই ম্লান।পিঠা কত প্রকার ও কিকিএমন অনেক পিঠা আছে যা সারাদেশেই জনপ্রিয়। এগুলি হচ্ছে এগুলি হচ্ছে ভাপা পিঠা, চিতুই পিঠা, ঝাল পিঠা, ছাঁচ পিঠা, ছিটকা পিঠা, দুধ চিতই, নারকেল পিঠা, নারকেলের ভাজা পুলি, নারকেলের সেদ্ধ পুলি, নারকেল জেলাফি,  বিবিখানা, চুটকি, চাপড়ি, ক্ষীর কুলি, গোকুল, গোলাপ ফুল পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, রসফুল, জামদানি, ঝালপোয়া, ঝুরি পিঠা, ঝিনুক, সূর্যমুখী, নকশি, চাঁদ পাকান, ছিট, সুন্দরী পাকান, সরভাজা, পুলি পিঠা, পাটিসাপটা, পাকান, পানতোয়া, মালপোয়া, মালাই, মুঠি, আন্দশা, কুলশি, কাটা পিঠা, কলা পিঠা, খেজুরের পিঠা, তেজপাতা পিঠা, তেলের পিঠা, তেলপোয়া, দুধরাজ, ফুল ঝুরি, ফুল পিঠা, বিবিয়ানা, সেমাই পিঠা প্রভৃতি। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় পিঠা হচ্ছে ভাপা পিঠা এবং চিতুই পিঠা। কালের গভীরে কিছু পিঠা হারিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। শীতকালে শুধু গ্রামবাংলায়ই নয়, শহর এলাকায়ও এখন পিঠা পাওয়া যায়। পিঠা তৈরির সাধারণ উপাদান হচ্ছে চালের গুঁড়া, ময়দা, খেজুর গুড় বা চিনি, নারকেল ও তেল। অনেক সময় কিছু কিছু পিঠাতে মাংস ও সবজি ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে জনপ্রিয় কয়েকটি পিঠাভাপা পিঠাবাংলাদেশে জনপ্রিয় আরেকটি পিঠা হলো ভাপা পিঠা।  এ পিঠাকে কোথাও  ধুপি পিঠা বা ধুকি পিঠা নামে পরিচিত। বাষ্পে সিদ্ধ করা হয় বলে এই পিঠার নাম ভাপা পিঠা। চালের গুঁড়ো দিয়ে করা ছোট ছোট পিঠার মাঝখানে খেজুরের রসের নতুন গুড় আর নারিকেল থাকে।নকশি পিঠাবাংলাদেশ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি বড় উদাহরণ নকশি পিঠা।  পাক্কান পিঠা, ফুল পিঠা ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে বেশি তৈরি হয়। চালের খামির বানিয়ে মোটা মোটা করে বেলে তার ওপরে খেজুর কাঁটা দিয়ে একটু গভীর করে আলপনা আঁকা হয়। এগুলোকে বলে ফুল নকশি পিঠা, পাক্কান পিঠা বা  সুঁই কাটা দিয়ে নকশা করা মুগপাক্কন পিঠা। তবে এর গোলাতে মুগ ডাল লাগে।চিতই পিঠাচিতই পিঠা বাংলাদেশের সব অঞ্চলের ধনী-দরিদ্র সবার কাছে পরিচিত ও প্রিয়। শহরের অলিগলিতেও দেখা যায় এ পিঠা। অনেক রকম ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খাওয়া হয়।  চিতই পিঠা খেজুরগুর ও নারকেলের পুর বা দুধে ভিজিয়ে খাওয়া হয়। পাটিসাপটা পিঠাপিঠার কথা উঠলে পাটিসাপটা পিঠার কথা বলতেই হবে। চালের গুঁড়ো ও খেজুর গুড়ের মোলায়েম আবরণের ভেতর ঘন দুধে তৈরি পায়েস বা নারকেল দিয়ে তৈরি করা হয় পাটিসাপটা পিঠা। এলাকাভেদে পাটিসাপটা পিঠা পরিবেশন ভিন্ন হলেও সবগুলোই হয় অনন্য সুস্বাদু।পুলি পিঠা পুলি পিঠাও বিভিন্ন উপায়ে তৈরি করা যায় ও খাওয়া যায়। তবে ঐতিহাবাহী পুলি পিঠা গুড় ও নারকেলের পুর দিয়ে তৈরি করা হয়। দুধ পুলিকে দুধে ভিজিয়ে রাখা হয় এবং স্বাদের জন্য মশলা ও খেজুর গুড় ও নারকেল ব্যবহার করা হয়। পুরে ভরা পুলি পিঠা তেলে ভাজা হয়।অঞ্চল ভেদে কিছু দেশীয় পিঠাবাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এ রকম অসংখ্য নাম জানা-না জানা  ঐতিহ্যবাহী পিঠা। অঞ্চল ভেদে কখনো কখনো একই পিঠার নাম অন্য রকম হয়। ঢাকা অঞ্চলের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পিঠার মধ্যে আছে গুজা পিঠা, ডালরুটি,  ছানার মালপোয়া, বিবিখানা পিঠা, কলা পিঠা, মুখশলা পিঠা, চাপড়ি পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, মুঠি পিঠা, খেজুর পিঠা, ডিমের ঝাল পুয়া, তিল পুলি, সাবুর পিঠা। নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলের কিছু ঐতিহ্যবাহী পিঠা হল ডিমের পানতোয়া, খোলাজা পিঠা, নারিকেল পুলি পিঠা, নারিকেলের চিড়া। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী কিছু পিঠা হল আতিক্কা পিঠা, বিন্নি পুলি, বিবিখানা পিঠা। সিলেটের গ্রামাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী কিছু পিঠার মধ্যে অন্যতম হল চুঙ্গাপুড়া পিঠা, নোনতা বা নুনগড়া পিঠা। খুলনা, বাগেরহাট অঞ্চলের মানুষের প্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী পিঠা হল হাতে বানানো হাত সেমাই পিঠা। উপসংহার  পিঠা তৈরি আবহমান বাংলার মা  মেয়েদের ঐতিহ্য। একসময় আমাদের দেশে শত শত নামের ধান ছিল, তখন বিচিত্র রকমের পিঠার নামও ছিল। পিঠা-পুলিকে কেন্দ্র আমাদের অনেক গান কবিতাও রচিত হয়েছে। তাই পিঠা পুলি অনেকটা আমাদের লোকজ সংস্কৃতিরই বহিঃপ্রকাশ বলা চলে। এতো বিচিত্র রকমের পিঠা হয়তো আর কোনো দেশে তৈরি হয় না। হাজারো বাধা ও সমস্যা সত্ত্বেও গ্রামবাংলায় মা বোন চাচি খালাদের পৌষ পার্বণে পিঠা বানানোর উদ্দীপনা এখনো মুছে যায়নি। শীতকালে নবান্নের সময় পিঠা-বানানোর এ আনন্দ ও ঐতিহ্য টিকে থাকুক যুগ যুগ ধরে বাংলার ঘরে ঘরে।
Read more

তাইয়াম্মুম করার সঠিক পদ্ধতি

তায়াম্মুম ইসলামি শরীয়তের একটি বিধান। পানি ব্যবহার করা অসম্ভব হলে বা পানি পাওয়া না গেলে পবিত্রতা অর্জনের লক্ষ্যে অন্য বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা কে তায়াম্মুম বলে। তায়াম্মুম একটি আরবি শব্দ। তায়াম্মুমের বাংলা অর্থ হল সংকল্প বা উদ্দেশ্য। পবিত্রতা অর্জনের জন্য অযু বা গোসলের বিকল্প ব্যবস্থাই হল তায়াম্মুম।  তায়াম্মুম করার অনেক বিধান ও নিয়ম রয়েছে। পবিত্রতা অর্জন করা ফরজ হলে পানির অনুপস্থিততে তায়াম্মুম করা ফরজ।আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন,{অতঃপর পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করো। সুতরাং তোমাদের মুখ ও হাত তা দ্বারা মাসেহ করো।}[সূরা আল মায়েদা:৬]অপর দিকে বুখারী হাদিসের বর্ণনায়, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আমাকে এমন পাঁচটি জিনিস দেয়া হয়েছে যা আমার পূর্বে কাউকে দেয়া হয়নি: একমাস হেঁটে আসার দূরত্ব পর্যন্ত আমার ভীতি বিস্তৃত করে আমাকে সাহায্য করা হয়েছে। আর সমস্ত জমিন আমার জন্য মসজিদ ও পবিত্র করে দেয়া হয়েছে। অতঃপর আমার উম্মতের কোনো ব্যক্তির যখন নামাজের সময় হবে তখন সে যেন তা পড়ে নেয়।’(বর্ণনায় বুখারী)তায়াম্মুম কি?তায়াম্মুমের আভিধানিক অর্থ হল ইচ্ছা করা, সংকল্প করা, কোনো বিষয়ের প্রতি ধাবিত হওয়া।অপরদিকে শরীয়তের পরিভাষায় তায়াম্মুমের অর্থ হল পবিত্রতা অর্জনের উদ্দেশে চেহারা ও দু’হাত পবিত্র মাটি, পাথর দিয়ে মাসেহ করা। অসুস্থতা বা কোনো কারণে পানি ব্যবহারে অপারগ হলে অথবা যাত্রা অবস্থায় পানি পাওয়া না গেলে  পাথর কিংবা মাটি দিয়ে মুখ হাত পা মুছে পবিত্র হওয়াকে তায়াম্মুম বলে।কোন অবস্থায় তায়াম্মুম করা বৈধ এবং তা শরীয়তের বিধান?ইবাদতের সাথে পবিত্রতার সম্পর্ক গভীর ভাবে সম্পর্কিত।  ফরজ ইবাদত পালনে পবিত্র হওয়া ফরজ। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে, পানি ব্যবহারে অসুস্থতা বেড়ে গেলে, দূর পথে যাত্রা অবস্থায় পানি ব্যবহার করা সম্ভব না হলে মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্রতার জন্য  সহজ বিধান অনুসারে তায়াম্মুমের বিধান দেন।তায়াম্মুম বৈধ বা জায়েজ হওয়ার কতগুলো বিধান রয়েছে। সেগুলো হল১. অনেক দুরের যাত্রা পথে মুসাফিরের জন্য পানি ব্যবহার করা কষ্টকর সে অবস্থায় তায়াম্মুম জায়েজ।২. পানি ব্যবহারের ফলে রুগ্ন ব্যক্তির রোগবৃদ্ধি আশঙ্কা থাকলে তার জন্য তায়াম্মুম করা বৈধ।৩. গোসল ফরজ এমন ব্যক্তি অধিক শীতের কারণে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা করলে গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করার বৈধ।৪. কোনো স্হানে শত্রু বা হিংস্র প্রাণীর ভয়ে পানি সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে না পারলে তায়াম্মুম করা জায়েজ।৫.  পানির সংকট বা অধিক দাম দিয়ে পানি ক্রয় করতে হলে বা  পানির ক্রয় করতে অক্ষম তায়াম্মুম করা বৈধ।৬. ঈদের নামাজ অথবা জানাযা  ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে তায়াম্মুম করা জায়েজ। ৭. নামাজের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকলে তায়াম্মুম জায়েজ।তায়াম্মুমের ফরজগুলো কি কিতায়াম্মুম করার ফরজ ৬ টি১. প্রথমে নিয়ত করা। ২. মাটি বা পাথরের উপর দুহাত রাখা ৩. এরপর চেহারা মাসেহ করা। ৪. অতপর দু’হাত মাসেহ করা। ৫. ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আবার দুহাত মাটিতে রেখে হালকা ঝেড়ে প্রথমে চেহারা ও পরে দু’হাত মাসেহ করা। ৬. মুয়ালাত তথা অবিচ্ছিন্নতা বজায় রেখে চেহারা মাসেহ করার পর বিলম্ব না করে হাত মাসেহ করা।তায়াম্মুমের সুন্নাতগুলো কি কি১. শুরতেই প্রথমে বিসমিল্লাহ পড়া। ২. এরপর মুখমণ্ডল, পরে হাত মাসেহ করা। ৩. অবশ্যই মুখমণ্ডল ও হাত মাসেহ করার মাঝে অন্য কোনো কাজ না করা। ৪. এরপর মাটির ওপর হাত হালকা ঘষে নেওয়া। ৫. এবং উভয় হাত ঝেড়ে ফেলা। ৬. অবশ্যই মাটির ওপর হাত রাখার সময় আঙুলগুলো সোজা রাখা। যেসব বস্তু দিয়ে তায়াম্মুম করা যাবে:পবিত্র মাটি, বালি, চুনা পাথর, কঙ্কর, মাটির তৈরি কাঁচা অথবা পাকা ইট, ধুলো-বালি, পাথর বা ইটের তৈরি দেয়াল। এছাড়াও কাপড়, লাকড়ী বা অন্য কোনো পবিত্র বস্তুতে ধুলাবালি লেগে থাকলে, এসব বস্তুর দিয়ে তায়াম্মুম করা যাবে।তায়াম্মুম করার পদ্ধতি১. প্রথমে মাটিতে একবার উভয় হাত রাখতে হবে। ২. এরপর ধুলা হালকা করার জন্য দু’হাতে ফুঁ অথবা হাত ঝেড়ে নিতে হবে। ৩. এরপর দু’হাত দিয়ে প্রথমে চেহারা মাসেহ করতে হবে। ৪. অতপর আবার মাটিতে দু’হাত রাখতে হবে। ৫. এরপর ধুলা হালকা করার জন্য দু’হাতে ফুঁ অথবা হাত ঝেড়ে নিতে হবে ৬. এখন বাম হাত ডান হাতের উপরের অংশে কনুই র্পযন্ত বুলিয়ে এবং কনুই থেকে নিচের অংশে কব্জি র্পযন্ত বুলাতে হবে। অতঃপর একই ভাবে ডান হাত দিয়ে বাম হাত বুলাতে হবে। যেসব কারণে তায়াম্মুম বাতিল হয়ে যায়১. পানি না থাকা।২. অজু ভেঙে যাওয়ার মত কিছু হওয়া যেমন বায়ু বের হওয়া।৩. গোসল ফরজ হওয়ার মতো এমন কিছু হওয়া, যেমন স্বপ্নদোষ।৪. পেশাব পায়খানার চাপ আসলে অজু যেমন ভেঙে যায় তেমনি তায়াম্মুম ও বাতিল হয়ে যায়।৫. পোশাকে কোনো রক্ত লাগলে অজুর মত তায়াম্মুমও বাতিল হয়ে যায়।উপসংহার কোরআন তেলাওয়াত এবং নামাজ এ জাতীয় ফরজ ইবাদতগুলোর জন্য পবিত্রতা জরুরি। স্বাভাবিকভাবে পবিত্রতার মাধ্যম হিসেবে অযু এবং গোসল করা ফরজ। তবে অনেকে অসুস্থ থাকার ফলে বা বিশেষ কোনও পরিস্থিতির কারণে অথবা সফরে থাকাকালীন অবস্থায় পানি ব্যবহার না করতে পারার কারণে ওযু ও গোসলের বিকল্প হিসেবে শরীয়তের বিধান অনুসারে তায়াম্মুমের মাধ্যমে পবিত্র হতে পারে।
Read more

জাফরানের জাদুকরী উপকারিতা

জাফরানের জাদুকরী উপকারিতা ও ইতিহাস যা জানলে আপনি অবাক হবেনজাফরান নামটি শুনলে মনে আসে কাশ্মীর, ইরানী  বিশাল বিশাল জাফরানের মাঠ আর সু্ন্দরী রমণীরা তাদের ঝুরিতে করে জাফরান তুলে এনে জমা করে রাখছে সারা বিশ্বে পাঠানোর জন্য। জাফরান এমন এক মশলা যা শুধু মাত্র একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে চাষ হয়। এই দেশগুলির অনন্য জলবায়ু এবং মাটি সাফরান চাষের জন্য আদর্শ।  জাফরান তার অনন্য স্বাদ, রং ও সুগন্ধির জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত। জাফরান স্যাফরন নামেও অধিক পরিচিত।জাফরান একটি মসলা হিসাবেও অত্যন্ত মূল্যবান। জাফরান সাধারণত মিষ্টি এবং নিরামিষ খাবারে ব্যবহৃত হয়, তবে এটি মাংস এবং পাস্তার মতো অন্যান্য খাবারেও ব্যবহার করা যেতে পারে। জাফরান একটি দুর্দান্ত রঞ্জক এজেন্টও বটে। এটি খাবারে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল হলুদ রঙ যোগ করতে পারে। সাফরান কখনও কখনও পোশাক এবং অন্যান্য পণ্য রঙ করার জন্যও ব্যবহৃত হয়। সাফরান একটি অনন্য এবং বহুমুখী মসলা যা স্বাস্থ্য এবং রন্ধনপ্রণালী উভয় ক্ষেত্রেই উপকার করতে পারে।জাফরানের অজানা ইতিহাসজাফরানের প্রাথমিক ইতিহাসসাফরানের প্রাথমিক ইতিহাস সম্পর্কে খুব কম জানা যায়। তবে, এটি বিশ্বাস করা হয় যে এটি প্রথমে মধ্যপ্রাচ্যে চাষ করা হয়েছিল। প্রাচীন মিশরীয়রা সাফরানকে মৃতদের জন্য প্রসাধন হিসাবে ব্যবহার করত। প্রাচীন গ্রীকরা সাফরানকে ঔষধি উদ্ভিদ হিসাবে ব্যবহার করত এবং এটিকে "রক্তের রঙ" বলে অভিহিত করত। প্রাচীন রোমানরা সাফরানকে খাবারে স্বাদ এবং রঙ যোগ করার জন্য ব্যবহার করত।জাফরানের মধ্যযুগীয় ইতিহাসমধ্যযুগে, সাফরান ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। এটি একটি জনপ্রিয় মসলা এবং ঔষধি হয়ে ওঠে। সাফরানকে প্রায়শই "স্বর্ণের মসলা" বলা হত কারণ এটি অত্যন্ত মূল্যবান ছিল।জাফরানের আধুনিক ইতিহাসআধুনিক সময়ে, সাফরান এখনও বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চাষ করা হয়। এটি এখনও একটি জনপ্রিয় মসলা এবং ঔষধি। সাফরান তার স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং রন্ধনসম্পর্কীয় বৈশিষ্ট্যের জন্য গবেষণা এবং উন্নয়নের বিষয়।জাফরানের উপকারিতা এবং মসলার অসাধারন গুণজাফরান একটি সুগন্ধি ও রঙিন মসলা যা ক্রোকাস স্যাটিভাস ফুলের সূক্ষ্ম স্টিগমা থেকে তৈরি হয়। এই স্টিগমাগুলি সংগ্রহ করা ধৈর্যশীল এবং শ্রমসাধ্য প্রক্রিয়া। প্রতিটি ফুল থেকে মাত্র তিনটি স্টিগমা পাওয়া যায়। তাই এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মসলাগুলির মধ্যে একটি। বহুমুখী উপকারিতার জন্য রন্ধনপ্রণালী, প্রসাধনী এবং ঔষধে এর ব্যবহার বেশি করা হয় ।জাফরান বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:●      অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্যকলাপ: জাফরান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি ফ্রি র‍্যাডিকেলগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে।●      মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য: জাফরান মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং শেখার ক্ষমতা উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে।●      মানসিক স্বাস্থ্য: সাফরান মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি হতাশার লক্ষণগুলি কমাতে এবং মেজাজ উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে।●      চোখের স্বাস্থ্য: সাফরান চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করতে পারে।●      হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো: সাফরান হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করতে পারে। এটি রক্তচাপ কমাতে, কোলেস্টেরল স্তর নিয়ন্ত্রণ করতে এবং রক্তের প্রবাহ উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে।●      প্রদাহের প্রশমন: সাফরান প্রদাহের প্রশমন করতে সহায়তা করতে পারে। এটি আর্থ্রাইটিস, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা এবং অন্যান্য প্রদাহজনিত অবস্থার লক্ষণগুলি কমাতে সহায়তা করতে পারে।●      ক্যান্সার প্রতিরোধ: সাফরান ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। এটি ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং বিস্তার রোধ করতে সহায়তা করতে পারে। জাফরানের মুগ্ধকর সুগন্ধি, উজ্জ্বল রং এবং সূক্ষ্ম গন্ধজাফরান তার মুগ্ধকর সুগন্ধি, উজ্জ্বল রং এবং সূক্ষ্ম গন্ধের জন্য পরিচিত। এটি একটি অনন্য এবং বহুমুখী মসলা যা রন্ধনপ্রণালী, প্রসাধনী এবং ঐতিহ্যবাহী ঔষধে এর ব্যবহারের জন্য পরিচিত।জাফরানের সুগন্ধিজাফরানের সুগন্ধি মধু, ফুল এবং গাছের মতো। এটি একটি আকর্ষণীয় এবং পরিপূর্ণ সুগন্ধি যা ইন্দ্রিয়গুলিকে মুগ্ধ করে। সাফরান সাধারণত মিষ্টি এবং নিরামিষ খাবারে ব্যবহৃত হয়, যেখানে এর সুগন্ধি খাবারের স্বাদ এবং গন্ধকে আরও মোহনীয় করে তুলতে পারে।সাফরানের সুগন্ধি ব্যবহারের কিছু উদাহরণ হল:●      মিষ্টি খাবার: সাফরান মিষ্টি খাবারে একটি উজ্জ্বল এবং আকর্ষণীয় স্বাদ যোগ করতে পারে। এটি সাধারণত পোড়ামিঠা, রসমালাই, মিষ্টি দই এবং অন্যান্য মিষ্টি খাবারে ব্যবহৃত হয়।●      নিরামিষ খাবার: সাফরান নিরামিষ খাবারে একটি অনন্য এবং আলাদা স্বাদ যোগ করতে পারে। এটি সাধারণত পোলাও, বিরিয়ানি, কাবাব এবং অন্যান্য নিরামিষ খাবারে ব্যবহৃত হয়।জাফরানের রংজাফরান একটি উজ্জ্বল হলুদ রঙের মসলা। এটি খাবারে একটি উজ্জ্বল এবং আকর্ষণীয় রঙ যোগ করতে পারে। সাফরান সাধারণত মিষ্টি এবং নিরামিষ খাবারে ব্যবহৃত হয়, যেখানে এর রঙ খাবারের চেহারা এবং উপস্থিতি উন্নত করতে পারে।জাফরানের গন্ধজাফরান একটি হালকা এবং সূক্ষ্ম গন্ধের মসলা। এটি খাবারে একটি অনন্য এবং আলাদা স্বাদ যোগ করতে পারে। সাফরান সাধারণত মিষ্টি এবং নিরামিষ খাবারে ব্যবহৃত হয়, যেখানে এর গন্ধ খাবারের স্বাদকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। জাফরানের সুগন্ধি, রং এবং গন্ধ এটিকে একটি অনন্য এবং বহুমুখী মসলা করে তোলে যা রন্ধনপ্রণালীতে একটি দুর্দান্ত সংযোজন।সাফরানের খাওয়ার নিরাপদ মাত্রা এবং সতর্কতাজাফরান একটি নিরাপদ মসলা হিসাবে বিবেচিত হয়, তবে এটি অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। জাফরানের নিরাপদ খাওয়ার মাত্রা প্রতিদিন 0.1 থেকে 0.2 মিলিগ্রাম। এই পরিমাণে সাফরান গ্রহণ করলে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।সাফরানের অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে নিম্নলিখিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে:●      মাথাব্যথা●      বমি বমি ভাব●      বমি●      ডায়রিয়া●      চুলকানি●      লালভাব●      উদ্বেগ●      নিদ্রাহীনতাসাফরান গ্রহণের আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা সবসময়ই ভাল, বিশেষ করে যদি আপনি:●      গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী হন●      অন্যান্য ওষুধ গ্রহণ করেন●      কোনও নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা থাকেসাফরান গ্রহণের সময় নিম্নলিখিত সতর্কতাগুলি মনে রাখা উচিত:●      সাফরান খাওয়ার আগে এটি ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।●      সাফরান সংরক্ষণ করার জন্য একটি শীতল, শুষ্ক জায়গা বেছে নিন।●      সাফরান সরাসরি আলো থেকে দূরে রাখুন।সাফরান একটি সুস্বাদু এবং সুগন্ধি মসলা যা স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী হতে পারে। তবে, এটি অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা উচিত। জাফরানের অর্থনৈতিক গুরুত্বজাফরান একটি ব্যয়বহুল মসলা যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উৎপাদিত হয়। সাফরানের অর্থনৈতিক গুরুত্ব বেশ উল্লেখযোগ্য। জাফরান বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মসলাগুলির মধ্যে একটি। এর দাম প্রতি কেজিতে $5,000 থেকে $10,000 পর্যন্ত হতে পারে। সাফরানের ব্যয়বহুল হওয়ার কারণ হল এটি উৎপাদন করা বেশ কঠিন। সাফরান ফুলগুলি থেকে ক্রোকিন নামক একটি রঞ্জক পদার্থ সংগ্রহ করা হয়। প্রতিটি ফুল থেকে মাত্র তিনটি ক্রোকিন স্টিক পাওয়া যায়। এই স্টিকগুলি শুকিয়ে সাফরান তৈরি করা হয়।জাফরান একটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানী পণ্য। ভারত, ইরান, স্পেন এবং গ্রীস সাফরানের প্রধান রপ্তানীকারী দেশ। সাফরান রপ্তানি থেকে এই দেশগুলি উল্লেখযোগ্য আয় করে। সাফরান স্থানীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাফরান চাষ এবং প্রক্রিয়াকরণে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হয়। সাফরান চাষ ইরান, স্পেন এবং গ্রীসের গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।জাফফরানের অর্থনৈতিক গুরুত্ব ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে। বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সাফরানের চাহিদা বাড়তে পারে। এছাড়াও, সাফরানের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে এর চাহিদা বাড়তে পারে।উপসংহারসাফরান একটি সুস্বাদু এবং সুগন্ধি মসলা যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যবহৃত হয়।সাফরানকে প্রায়শই "মসলারাজ" হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মসলাগুলির মধ্যে একটি। অনেক দেশে জাফরানকে সম্পদ এবং আভিজাত্যের প্রতীক হিসাবে দেখা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ইরানে সাফরানকে "সৌভাগ্যের মসলা" হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি প্রায়শই উৎসব এবং বিশেষ অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। অনেকে আবার জাফরানকে ভালবাসা এবং রোমান্টিকতার প্রতীক হিসাবেও দেখে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন মিষ্টি খাবারে এটি ব্যবহৃত হয়। মাঝে মাঝে চা হিসাবেও এটি  খাওয়া হয়। প্রাচীনকালে, জাফরানের নির্যাস বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসার জন্যও ব্যবহৃত হয়েছে। ঋতুস্রাবের সমস্যা, পেটের সমস্যা, আলসারের  বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য জাফরান বেশ পরিচিত।
Read more

গ্লিসারিন ব্যবহারের উপকারিতা

শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এটি যেকোনো ত্বকের ধরণের জন্যই একটি সমস্যা। শীতের রুক্ষ আবহাওয়ায় ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। শীত বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে কমতে থেকে ত্বকের আর্দ্রতা। এই সমস্যা দূর করতে গ্লিসারিন একটি কার্যকর উপায়। গ্লিসারিন একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি ত্বকের উপর একটি প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা তৈরি করে যা আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের শুষ্কতা, রুক্ষতা, ফাটা ঠোঁট, হাত-পা ফাটা ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। গ্লিসারিন ব্যবহারের বিভিন্ন উপায় রয়েছে। এটি টোনার, ময়েশ্চারাইজার, ফেসওয়াশ, বা স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। গ্লিসারিন ব্যবহারের আগে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এছাড়াও এটি শুষ্ক ত্বক, ঠাণ্ডা প্রদাহ, এবং সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। গ্লিসারিন ব্যবহারের নিয়ম গ্লিসারিন ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই এটি ত্বকের যত্নে একটি জনপ্রিয় উপাদান। গ্লিসারিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চললে এর কার্যকারিতা আরও বাড়ানো যায়। ১. ত্বক পরিষ্কার করে নিনগ্লিসারিন ব্যবহারের আগে অবশ্যই ত্বক ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এতে ত্বকের ময়লা দূর হয়ে গ্লিসারিন ভালোভাবে কাজ করতে পারে। ২. গোলাপ জল বা অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করুনসরাসরি ত্বকে গ্লিসারিন ব্যবহার না করাই ভালো। এতে ত্বক চিটচিটে হয়ে যেতে পারে। তাই গ্লিসারিন ব্যবহারের আগে গোলাপ জল বা অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এতে গ্লিসারিন ব্যবহারের সুবিধাগুলো পাওয়া যাবে এবং ত্বক চিটচিটে হবে না। ৩. ঈষদুষ্ণ গরম জল ব্যবহার করুনগ্লিসারিন যুক্ত ফেসপ্যাক ব্যবহারের পর ঈষদুষ্ণ গরম জল ব্যবহার করুন। এতে ত্বক কোমল থাকবে। ৪. তৈলাক্ত ত্বকের জন্যতৈলাক্ত ত্বকের ব্যক্তিরাও গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে গ্লিসারিন ও গোলাপ জলের পরিমাণ সমান করে নিতে হবে। ৫. অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকের জন্যঅতিরিক্ত শুষ্ক ত্বক হলে, গ্লিসারিন ও কাঁচা দুধের পরিমাণ সমান করে নিয়ে ত্বকে লাগান। এতে ত্বক কোমল থাকবে। ৬. মেকআপ রিমুভার হিসেবেগ্লিসারিনকে মেকআপ রিমুভার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গ্লিসারিন দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিলেই ত্বকের জেল্লা বাড়বে। রূপচর্চায় গ্লিসারিনের ব্যবহারশরীরে●      রাতে ঘুমানোর আগে হাত-পায়ের ত্বকে গ্লিসারিন ও অলিভ অয়েলের মিশ্রণ লাগিয়ে রাখুন। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। এতে হাত-পায়ের ত্বক কোমল ও মসৃণ হবে।●      ঠোঁটে গ্লিসারিন ও গোলাপজলের মিশ্রণ লাগিয়ে রাখুন। এতে ঠোঁটের ফেটে যাওয়া দূর হবে।●      গ্লিসারিন ও লেবুর রসের মিশ্রণ দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করুন। এতে ত্বকের দাগ-ছোপ দূর হবে।●      গ্লিসারিন, চিনি ও অলিভ অয়েলের মিশ্রণ দিয়ে বডি স্ক্র্যাব তৈরি করুন। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বককে নরম ও মসৃণ করে।ত্বকে●      গ্লিসারিন ও গোলাপজলের মিশ্রণ দিয়ে মুখ ও ঘাড়ের ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এতে ত্বক আর্দ্র থাকবে।●      গ্লিসারিন ও অ্যালোভেরা জেলের মিশ্রণ দিয়ে মুখ ও ঘাড়ের ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এতে ত্বকের বলিরেখা দূর হবে।●      গ্লিসারিন ও লেবুর রসের মিশ্রণ দিয়ে মুখ ও ঘাড়ের ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।ঠোঁটে●      গ্লিসারিন ও লেবুর রসের মিশ্রণ দিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে।●      গ্লিসারিন ও অলিভ অয়েলের মিশ্রণ দিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন। এতে ঠোঁট ফাটা রোধ হবে।●      গ্লিসারিন ও মধুর মিশ্রণ দিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন। এতে ঠোঁটের আকার বড় হবে।মুখে●      গ্লিসারিন, লেবুর রস ও মধুর মিশ্রণ মুখে লাগাতে পারেন। এটি মুখের ব্রণ ও ব্রণর দাগ দূর করতে সাহায্য করে।●      গ্লিসারিন, হলুদ গুঁড়া ও মধুর মিশ্রণ মুখে লাগাতে পারেন। এটি মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। চুলে●      গ্লিসারিন ও অলিভ অয়েলের মিশ্রণ দিয়ে চুলে ম্যাসাজ করুন। এতে চুলের আগা ফাটা রোধ হবে।●      গ্লিসারিন ও আমলকির তেলের মিশ্রণ দিয়ে চুলে ম্যাসাজ করুন। এতে চুলের শুষ্কতা দূর হবে।●      গ্লিসারিন ও লেবুর রসের মিশ্রণ দিয়ে চুলে ম্যাসাজ করুন। এতে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়বে। গ্লিসারিন ব্যবহারের উপকারিতা গ্লিসারিন কতটা উপকারী, তা হয়তো অনেকেরই অজানা। গ্লিসারিন ব্যবহারে ত্বক কালচে হয়ে যায় এ নিয়ে অনেকের ভুল ধারণা আছে! আসলে এ ধারণে ঠিক নয়। আসলে এটি এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বকের যত্নে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে, ত্বককে নরম ও মসৃণ করে তোলে, ব্রণ ও অন্যান্য ত্বকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তোলে। এছাড়াও এটি ●      এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।●      এটি ত্বককে নরম ও কোমল করে তোলে।●      এটি ত্বকের রুক্ষতা ও খসখসে ভাব দূর করে।●      এটি ত্বকের ফাটল দূর করতে সাহায্য করে।●      ত্বকের বয়সের ছাপ দূর করে।●      ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।●      মেকআপ রিমুভার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।●      টোনার হিসেবে গ্লিসারিন খুবই উপকারি●      গ্লিসারিন ত্বকের বিভিন্ন ক্ষত বা ফুসকুড়িও দ্রুত সারিয়ে তোলে।●      ক্লিনজার হিসেবে গ্লিসারিন ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে শীতকালে যেভাবে  গ্লিসারিন ব্যবহার করবেন?স্কিন অয়েলি  কিংবা ড্রাই হোক সব ধরনের ত্বকের জন্যই গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারবেন। ঠোঁট ফাটা থেকে শুরু করে, হাত-পা ফাটা আর শুষ্কতা  শীতকালে ত্বকে দেখা দেয় নানান রকম সমস্যা। । তাই শুষ্ক আবহাওয়া থেকে ত্বককে রক্ষা করতে যত্ন নিতে হবে। ত্বকের যত্নে গ্লিসারিন ব্যবহার করা অত্যন্ত কার্যকর। ত্বকের সব সমস্যার জন্য  গ্লিসারিন একাই একশো। তাই●      গ্লিসারিন সরাসরি ত্বকে লাগাতে পারেন। এক্ষেত্রে এক চা চামচ গ্লিসারিন নিয়ে ত্বকে ভালো করে লাগান।  ●      আপনার ত্বকের জন্য যেকোনো ময়েশ্চারাইজারের সাথে গ্লিসারিন মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে এক চা চামচ গ্লিসারিন নিয়ে আপনার ত্বকের জন্য যেকোনো ময়েশ্চারাইজারের সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ●      গ্লিসারিনকে টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে এক চা চামচ গ্লিসারিন নিয়ে এক কাপ গোলাপজলের সাথে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন●      গ্লিসারিনকে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে এক চা চামচ গ্লিসারিন নিয়ে এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। উপসংহারশীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। গ্লিসারিন একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। শীতকালে ত্বকের যত্নে গ্লিসারিন ব্যবহারের বিভিন্ন উপায় রয়েছে। নিয়মিত গ্লিসারিন ব্যবহারে আপনার ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে। অনেক সময় নামিদামি অনেক প্রসাধনী ব্যবহার করেও সমস্যার সমাধান হয় না। কিন্তু উদ্ভিজ উৎস থেকে প্রাপ্ত এই গ্লিসারিন যাতে কোনো রকম রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না তা ত্বকের জন্যও খুব সুরক্ষিত এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে দীর্ঘক্ষণ।
Read more

শীতকালে ত্বকের মসৃণতা ধরে রাখার উপায়

শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। এটি বিভিন্ন বয়সে যেকোনো কারো হতে পারে। শীতের শুষ্ক হাওয়ায় ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। এছাড়া, শীতকালে তেষ্টা কম পায় বলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল প্রবেশ করে না। ফলে ত্বক ভিতর থেকে শুষ্ক হয়ে যায়।শীতে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা একটি সাধারণ ব্যাপার। শীতকালের হিমশীতল কনকনে ঠান্ডা বাতাস ত্বকের জন্য ভালো নয়। এসময় ত্বকের বাড়তি যত্ন না নিলে ত্বক ফেটে যায়।শীতকালে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকে বাঁচার উপায়শীতকালে শুষ্ক ত্বকের যত্ন নেওয়ার কিছু উপায় রয়েছে।এই নিয়মগুলো মেনে চললে ত্বককে কিছুটা ভালো রাখতে পারবেন। তাই ●      পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। শীতকালে তেষ্টা কম পাওয়ায় অনেকেই পানি কম পান করেন। তবে ত্বককে আর্দ্র রাখতে হলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল প্রবেশ করানো জরুরি। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।●      ত্বক পরিষ্কার করার সময় মৃদু সাবান বা ক্লিনজার ব্যবহার করুন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে থাকে বলে কঠোর সাবান বা ক্লিনজার ব্যবহার করলে ত্বকের আর্দ্রতা আরও কমে যেতে পারে। তাই মৃদু সাবান বা ক্লিনজার ব্যবহার করুন।●      গোসলের পর ত্বক আর্দ্র রাখার জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। গোসলের পর ত্বক খোলা থাকলে তা শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই গোসলের পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।●      বাইরে বের হলে ত্বককে আবহাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্য সানস্ক্রিন, টুপি, মাফলার ইত্যাদি ব্যবহার করুন।●      ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক হতে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে চুলকানি, ফাটল ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক হতে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।●      শীতকালে বাইরে বের হলে ত্বককে ঠান্ডা বাতাস থেকে রক্ষা করার জন্য গ্লাভস, মোজা ইত্যাদি পরিধান করুন।●      শীতকালে ত্বকে স্ক্রাব করা এড়িয়ে চলুন। স্ক্রাব করলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল সরিয়ে ফেলা হয়, ফলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়।●      শীতকালে ত্বকের জন্য ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। ভিটামিন ই ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।শীতে ত্বকের যত্নশীতকালে আবহাওয়ার কারণে ত্বক স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। এতে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমে যায় এবং ত্বক রুক্ষ, খসখসে এবং চুলকানিযুক্ত হয়ে ওঠে। এছাড়াও, শীতকালে ত্বকে ব্রণ, একজিমা, সোরিয়াসিস ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই শীতকালে ত্বকের একটু বেশি যত্ন নেওয়া জরুরি।শীতে ত্বকের মসৃণতা ধরে রাখতে যে পণ্য ব্যবহার করবেনশীতে ত্বকের মসৃণতা ধরে রাখতে কিছু পণ্য অনেক সাহায্য করে। সেই পণ্যগুলো মধ্যে কিছু পণ্য হল:-গ্লিসারিনগ্লিসারিন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বকের যত্নে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে, ত্বককে নরম ও মসৃণ করে তোলে, ব্রণ ও অন্যান্য ত্বকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তোলে।অলিভ ওয়েলঅলিভ অয়েল ত্বকের জন্য আরেকটি ভালো প্রাকৃতিক উপাদান। এটি ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তোলে। নারকেল তেল:নারকেল তেল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের রুক্ষতা দূর করে।আমন্ড অয়েল:আমন্ড অয়েল ত্বকের জন্য খুবই পুষ্টিকর। এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার প্রদান করে এবং ত্বকের বয়সজনিত পরিবর্তন রোধ করে।মধু:মধু ত্বকের জন্য একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি ত্বকের ক্ষয় রোধ করে এবং ত্বককে সুস্থ রাখে।লিপবামঠান্ডা বাতাসের  ফলে ঠোঁট ফেটে যায়। ঠোঁটের সুরক্ষায় পেট্রোলিয়াম জেলি বা লিপবামের মতো সিম্পল সল্যুশন ব্যবহার করতে পারেন। লিপবাম ঠোঁটে একটি প্রতিরক্ষা আবরণ তৈরি করে, যার ফলে ঠোঁট ফেটে যায় নাক্লিনজারশীত আসার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক অনেক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই দরকার একটি ভালো মানের ক্লিনজার ব্যবহার করা। শীতকালে  এটি ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতে এবং বাড়তি ক্ষতি এড়াতে, হাইড্রেটিং করতে সাহায্য করে।ময়েশ্চারাইজারত্বকের শুষ্কতা প্রতিরোধের জন্য ভালোমানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি।শীতকালে উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজিং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ময়েশ্চারাইজার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও এটি ত্বকের প্রাকৃতিক জেল্লা ধরে রাখে।বডি বাটারশীতে আপনার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ রাখতে বেস্ট সল্যুশন হচ্ছে বডি বাটার। কেননা বডি বাটার দিনভর আপনার স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড, হাইড্রেট আর সফট রাখতে সাহায্য করে।উপসংহার শীতকালে আমাদের অনেকের ত্বক নিষ্প্রাণ ও রুক্ষ হয়ে পড়ে। এসময় আৃসদের ত্বক চায় একটু আলাদা যত্ন। এই জন্যই আমাদের শীতে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেয়া উচিত। শীতকালে ঠিক মতো ত্বকের যত্ন না নিলে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারায়, ত্বকের উপরিভাগ কালো হয়ে আসে এবং ত্বক ফেটে যায়।  আমাদের ত্বকের জন্য শীতকাল সবচেয়ে রুক্ষ ঋতু। কম আর্দ্রতা এবং ঠাণ্ডা তাপমাত্রার কারণে আমাদের ত্বক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে, যার ফলে ত্বকের ক্ষতিও হয় অনেক। এই অবস্থা রোধে শীতে ত্বকের যত্ন নিতে হবে অনেক বেশি।
Read more

রূপচর্চায় সুষম খাদ্য কেন প্রয়োজনীয়

নিখুঁত সৌন্দর্যের অধিকারী সবাই হতে চায়।নিয়মিত রূপচর্চায় আপনিও হতে পারেন নিঁখুত সৌন্দর্যের অধিকারী। সৌন্দর্যের কথা আসতে প্রথমে যে দুটো অঙ্গের কথা আসে তা হল ত্বক ও চুল। নিয়মিত ত্বক ও চুলের যত্ন নিলে আপনিও সারা বছর উজ্জ্বল আর ঈর্ষণীয় সৌন্দর্যের অধিকারী হতে পারবেন। সবাই চায় ত্বকে কোনও দাগ থাকবে না, ত্বক হবে কোমল, নরম, টানটান। তার সঙ্গে ত্বকে থাকবে সতেজতা ও উজ্জ্বলতা। নামী-দামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী পণ্যের ব্যবহার করা মানেই রূপচর্চা নয়। রূপচর্চার আসল রহস্য লুকিয়ে থাকে সুষম খাদ্যাভ্যাসে। সঠিক রূপচর্চা আর সুষম খাদ্যাভ্যাস যদি একসঙ্গে পালন করা যায় তাহলে আপনার সৌন্দর্য এমনিতেই প্রকাশ পাবে। সুষম খাদ্য কি ও কাকে বলে?যে সব খাবার আমাদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে সেসব খাবারকে সুষম খাদ্য বলে। এছাড়াও এভাবে বলা যায় যে সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এমন পুষ্টি উপাদান সঠিক অনুপাতে যে ধরনের খাবারে অন্তর্ভুক্ত থাকে এমন খাবারকে সুষম খাদ্য বলে। আর সুষম খাদ্য মানেই হল আমিষ, শর্করা, ভিটামিন, স্নেহ, খনিজ লবণ ও পানি এই ছয়টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার। আমাদের প্রতিদিনের খাবারে যদি আমিষ, শর্করা, খনিজ, ভিটামিন, পানি ও স্নেহ বা চর্বিজাতীয় এই ছয়টি খাদ্য উপাদান রাখতে পারি তাহলে সুষম খাদ্যের অভাব দূর হবে। এই খাদ্য উপাদানগুলো সাধারণত ফল, শাকসবজি, শস্য, প্রোটিন এবং দুগ্ধজাত খাবারের মিশ্রণ নিয়ে গঠিত। এই খাবার গুলো শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং শক্তি পাবেন।সুষম খাদ্যের উপাদান কয়টি ও কী কী?সুষম খাদ্যের উপাদান ছয়টি। এই উপাদানগুলো হল :●      ভিটামিন : রঙিন ফল ও শাকসবজিতে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়।●      শর্করা : বাদামী চাল এবং গমের রুটির মধ্যে ফাইবার এবং শক্তির জন্য শর্করা পাওয়া যায়।●      আমিষ : চর্বিহীন মাংস, মাছ, মটরশুটি এবং বাদামের মধ্যে আমিষ জাতীয় উপাদান অন্তর্ভুক্ত থাকে।●      দুগ্ধজাত খাবার: দুধ, দই এবং পনিরের মধ্যে খনিজ উপাদান থাকে।●      চর্বি: অলিভ অয়েল এবং বাদামের মধ্যে চর্বি ও খনিজ উপাদান থাকে।●      পানি: শরীরের কার্যকারিতার জন্য প্রচুর পানি  দরকার যা প্রকৃতিতে পাওয়া যায়।এই খাদ্য উপাদানগুলো আপনাকে সুস্থ ও রূপচর্চায় সাহায্য করে।সুষম খাদ্য কোনগুলোএখানে কিছু সুষম খাবারের তালিকা দেওয়া হল:●      বাদাম এবং বীজ (যেমন: বাদাম, চিয়া বীজ)●      দুগ্ধজাত বা দুগ্ধজাত বিকল্প (যেমন: দই, বাদাম, দুধ)●      স্বাস্থ্যকর চর্বি (যেমন: জলপাই তেল, অ্যাভোকাডো)●      ফল (যেমন: আপেল, কমলা, কলা)●      শাকসবজি (যেমন: ব্রকলি, পালং শাক, গাজর)●      ডিম●      পানি●      চর্বিহীন মাংস কাটা (যেমন: টার্কি, চর্বিহীন গরুর মাংস)●      পুরো শস্য (যেমন: ওটস, বাদামী চাল, পুরো গমের রুটি)●      চর্বিহীন প্রোটিন (যেমন: মুরগি, মাছ, মটরশুটি)সুষম খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা অনেক কারণ এটি আমাদের শরীরকে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। এটি আমাদের সুস্থতা বজায় রাখে ও রূপচর্চায় সাহায্য করে।সুষম খাদ্য কেন খেতে হবে? আমাদের শরীরে ফ্রি-র‌্যাডিক্যালের পরিমাণ বেড়ে গেলে তার প্রভাব লক্ষ্য করা যায় আমাদের ইমিউন সিস্টেমের উপর। এতে করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে প্রদাহ বাড়ে। এমনকী শরীরে তৈরি হয় ক্যানসারের ঝুঁকি।আমাদের শরীরকে ফ্রি-র‌্যাডিক্যালের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে একমাত্র অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সাধারণত পাওয়া যায় বিভিন্ন ফল ও সবজিতে । বিভিন্ন রঙের ফল ও সবজিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। টমেটো, তরমুজ, আম, লেবুতে ভরপুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি ব্রকোলি, কর্ন, গাজরের মতো সবজিতেও অনেক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়।এছাড়া গ্রিনটিতেও খুব ভাল পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এই খাবার গুলো শরীরকে সুস্থ রাখতে ও  ত্বককে ভাল রাখতে সাহায্য করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রূপচর্চার  জন্য অনেক উপকারী।চুল, নখ ও ত্বক সুস্থ রাখতে সুষম খাদ্যাভ্যাস ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে আমাদের এই খাবার গুলো রাখা উচিত। রূপচর্চায় সুষম খাদ্যাভ্যাসের গুরুত্ব রূপচর্চা ও সুস্বাস্থ্যের জন্য সুষম খাদ্যাভাসের গুরুত্ব অনেক। পানি যেমন ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখে, তেমনি অতিরিক্ত পানি পান করলে কিডনিতে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই যতটুকু পানি পান করা  প্রয়োজন, ততটাই পান করতে হবে।এছাড়াও  ●      চুল আমাদের সৌন্দর্যের অন্যতম প্রতীক। আমাদের চুল মজবুত ও সুস্থ রাখতে আমিষজাতীয় খাবারের কোনো বিকল্প নেই। আমিষ জাতীয় খাবারের অভাবে চুল পড়ে যেতে পারে। ত্বকের উজ্জ্বলতা ও নখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মাছ, মাংস, ডিম, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, দুধ ও দুধের তৈরি খাবার থেকে আমিষ পাওয়া যায়।      ●      অনেক সময় আয়রনের অভাবেও চুল পড়তে পারে। কচুশাকসহ অন্যান্য সবুজ শাক, পেয়ারা, আপেল, কলিজা প্রভৃতিতে আয়রন রয়েছে।●      দেহের ত্বক ভালো রাখতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সাহায্য করে। মাছের তেলে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়।●      চুল ও ত্বক সুস্থ রাখতে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ প্রয়োজনীয় উপাদান । রঙিন শাকসবজি ও ফলমূল লেবু, আমড়া, পেয়ারাসহ বিভিন্ন টক ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ রয়েছে।●      চুল পড়া ও চুলের আগা ফেটে যাওয়া রোধ করতে সাহায্য করবে জিংক এবং খনিজ উপাদান। কাঠবাদাম, ডিমের কুসুম, কলিজায় প্রয়োজনীয় উপাদানটি পাওয়া যায়।●      এ ছাড়া চুল ও ত্বকের সৌন্দর্যে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা উচিত। উপসংহার আমাদের সুস্থতা ও রূপচর্চার জন্য সুষম খাদ্যাভাস বজায় রাখা অত্যাবশ্যক। তাই প্রতিদিন বিভিন্ন রঙের ফল, শাকসবজি, শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং শরীর হাইড্রেটেড রাখার জন্য পানি গ্রহণ করা উচিত। সুষম খাদ্য শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্যকেই সমর্থন করে না সেই সাথে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে, সামগ্রিক মানসিক সুস্থতা বজায় রাখে এবং রূপচর্চায় সাহায্য করে। একটি স্বাস্থ্যকর ও উদ্যমী জীবনযাপনের সুষম খাদ্যাভাসের কোনো বিকল্প নেই।
Read more

কেন Handmade Soap ব্যবহার করবেন

আপনার ত্বক যে ধরনেরই হোক না কেন, প্রতিদিন যদি আপনি ত্বকের যত্ন নেন তবে তা আপনাকে ত্বকের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে, যার মধ্যে ব্রেকআউট, হাইপারপিগমেন্টেশন এবং বলিরেখার মতো সমস্যা।  আর এখানেই আসে হেন্ডমেড সাবান কথা! বাজারের পাওয়া ক্যামিকেল যুক্ত বাণিজ্যিক সাবানের বিপরীতে, প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি হেন্ডমেড সাবানে কোনো রাসায়নিক ক্ষতিকারক পদার্থ যোগ করা থাকে না এবং তা আমাদের ত্বকের জন্য মৃদু সহনশীল ।হেন্ডমেড সোপগুলো উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত প্রাকৃতিক উপাদানে সমৃদ্ধ যা ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে এবং বার্ধক্যের ছাপ কমিয়ে আনে।  এছাড়াও এগুলো আমাদের ত্বকে মৃদু সহনশীল এবং এটি ত্বকে জ্বালা করার সম্ভাবনা কম থাকে। এতে ক্ষতিকারক ক্যামিকেলের গন্ধ থাকে না।  সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই সাবালনগুলো বায়োডিগ্রেডেবল এবং পরিবেশ বসবাসকারী প্রাণীদের কোনও ক্ষতি করে না।হেন্ডমেড সোপ কোনগুলো?বাজারে সব জায়গায় পাওয়া যায় যে সাবান বা সোপ গুলো অর্থাৎ যে সাবান গুলো বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহারের জন্য ক্ষতিকারক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয় সেগুলো হল বাণিজ্যিক সাবান।  অন্যদিকে হেন্ডমেড সোপ হল সেই সাবান গুলো যে গুলোতে কেবলমাত্র তাদের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো থাকে যেমন কোন অতিরিক্ত প্রিজারভেটিভ দিয়ে বাণিজ্যিক সাবানের মতো এর শেলফ লাইফকে কয়েক বছর বাড়ানোর প্রয়োজন হয় না এবং সেগুলোকে ফেনা তৈরির জন্য কোনও ফোম বুস্টারের প্রয়োজন হয় না। বরং এই হেন্ডমেড সাবানে কোনো সিন্থেটিক উপাদান নেই, কোনো কৃত্রিম সুগন্ধি বা পারফিউম নেই, কোন কৃত্রিম রং, কোন ডিটারজেন্ট নেই এবং কোন সিন্থেটিক প্রিজারভেটিভ নেই।কেন মানুষ হেন্ডমেড সোপ পছন্দ করে?আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় যে অঙ্গ তা হল আমাদের ত্বক। এই ত্বক অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত এবং শোষণ ক্ষমতা রয়েছে। আমাদের ত্বক দেখে বুঝা যায় সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অবস্থা। ত্বকের যত্নে আমরা অনেক কিছু ব্যবহার করি। তবে আমাদের ব্যবহার করা উপাদানের মধ্যে প্রাকৃতিক সুগন্ধযুক্ত হেন্ডমেড সাবানগুলো উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখে।সুগন্ধিযুক্ত খাঁটি  অলিভ অথবা নারকেল তেল অ্যারোমা, গ্লিসারিন  দিয়ে তৈরি করা হয় এই সাবান গুলো যা ত্বককে শুষ্ক না করে ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে। এছাড়াও ত্বকের পুষ্টিকর উপাদান, এবং সুপারফ্যাটিং এবং প্রাকৃতিক স্যাপোনিফিকেশন একটি ময়শ্চারাইজিং উপাদান, প্রাকৃতিক তেল এবং প্রাকৃতিক গ্লিসারিন দিয়ে হেন্ডমেড সাবানগুলো তৈরি করা হয়। এ কারণেই মানুষ হেন্ডমেড সোপ বেশি পছন্দ করে।হেন্ডমেড সোপ ব্যবহারের উপকারিতাপ্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হেন্ডমেড সোপ গুলোআপনার ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য এটি আপনার ত্বক নরম, কোমল এবং স্বাস্থ্যকর রাখে। এই সাবানগুলে রাসায়নিক এবং সিন্থেটিক্স উপাদান ছাড়াই তৈরি করা হয় যা ত্বকের জন্য বেশ উপকারি। অন্যদিকে বেশিরভাগ বাণিজ্যিক সাবান সিন্থেটিক উপাদান প্যারাবেনস, পেট্রোকেমিক্যালস, থ্যালেটস, ট্রাইক্লোসান এবং ফসফরাস থাকে যা ত্বকে জ্বালা সৃষ্টি করে এবং ত্বক শুষ্ক করে। হেন্ডমেড সাবানের ব্যবহৃত প্রাকৃতিক উপাদানগুলি বায়োডিগ্রেডেবল যা সহজে পানিতে মিশে যায় এবং প্রকৃতির কোনো ক্ষতি করে না। এছাড়াও এই সাবানে ব্যবহৃত গ্লিসারিন দীর্ঘ সময় ধরে ত্বককে ময়শ্চারাইজ রাখে। হেন্ডমেড সাবান গুলোর প্যাকেজিং অনেক স্বাস্থ্যসম্মত কারণ এতে বাণিজ্যিক সাবানের মত প্লাস্টিকের প্যাকেজ ব্যবহার করা হয় নয়।হেন্ডমেড সোপ এত দামী কেন?হেন্ডমেড সাবানগুলো বাণিজ্যিক সাবানের মত কোনো ফ্যাক্টরি বা কারখানাতে তৈরি করা হয় না। এগুলো তৈরি করা হয় অত্যন্ত যত্ন সহকারে ছোট কারুশিল্প স্টুডিও বা মানুষের নিজস্ব বাড়িতে তৈরি করা হয়। হেন্ডমেড সোপ গুলো একটি প্যানে তেল গলিয়ে, জল এবং কস্টিক সোডা যোগ করে এবং প্রয়োজনীয় ভেষজ উপাদান যোগ করে ঘন করে ঠাণ্ডা করে একটি বারে রুপ দেওয়া হয়। হেন্ডমেড সাবান তৈরি করা অনেক ব্যয়বহুল কারণ উৎপাদন  করা হয় রান ছোট পরিসরে এবং উপাদানগুলো ব্যয়বহুল।এছাড়াও হেন্ডমেড সাবান এত দামী হওয়ার একটি প্রধান কারণ হল এর উপাদান।  বেশিরভাগ হেন্ডমেড সাবান সিন্থেটিক রাসায়নিক এবং প্রিজারভেটিভের পরিবর্তে প্রাকৃতিক জৈব উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে চর্বি, লাই এবং প্রাকৃতিক উপাদান যেমন ওটমিল, কোকো, মোটা লবণ, শিয়া মাখন এবং সুগন্ধি।  রাসায়নিক উপাদানের চেয়ে প্রাকৃতিক উপাদানের দাম বেশি তাই সাবানের দাম বেশি। কেন হেন্ডমেড সোপ ব্যবহার করবেন?অনেকে হেন্ডমেড সোপ এবং বাণিজ্যিক সোপ একই রকম মনে করে। কিন্তু একটু গভীর ভাবে রিসার্চ করলে দেখতে পাবেন দুই রকম সাবানের মধ্যে কত পার্থক্য।  হেন্ডমেড সোপ দামী হওয়ায় অনেকে ব্যবহার করতে চায় না। কিন্তু যে কারণে আপনার হেন্ডমেড সোপ ব্যবহার করা উচিত তা হল: ●       হেন্ডমেড সাবানগুলো ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান মুক্ত এবং প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে হাতে তৈরি যা ত্বকের জন্য সহনশীল। ●       হেন্ডমেড সাবানগুলোতে পরিবেশের জন্য  ক্ষতিকারক টক্সিন থাকে না ●       প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি হেন্ডমেড  সাবানগুলো ত্বকের যত্নে আপনাকে প্রশান্তি দিবে। ●       হেন্ডমেড সাবানগুলোর প্রাকৃতিক নিরাময় বৈশিষ্ট্য রয়েছে এতে ব্যবহৃত ভেষজ উপাদানের জন্য। ●       এই সাবানগুলো প্রাকৃতিক অ্যারোমাথেরাপি প্রদান করে যা আপনার মন এবং শরীরকে প্রশমিত করে। ●       হেন্ডমেড সাবানগুলো ব্যবহার করলে আপনি একটু বিলাসিতা অনুভব করবেন যা আপনার মনকে উজ্জীবিত করবে।উপসংহারহেন্ডমেড সোপগুলো স্বাস্থ্যকর উপাদান, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং গ্লিসারিন সমৃদ্ধ হওয়ায় ত্বকের জন্য অধিক সংবেদনশীল। হাতে বানানো হয় বিধায় এই সাবানগুলো একটু ব্যয়বহুল ও দামী। হেন্ডমেড সাবানে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদানগুলো ত্বকের কোষ পুনর্জীবিত করে। দীর্ঘসময় ধরে আপনার ত্বক নরম, কোমল ও ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে। একটু দামী হলেও এর উপকারি দিক বিবেচনায় প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি হেন্ডমেড সোপ ব্যবহার করাই শ্রেয়।
Read more

Makeup Remover সোপ ব্যবহারের উপকারিতা

মেয়ে মানুষ কম বেশি সবাই মেকাপ করতে ভালোবাসে। সেটা হোক ছোট কোনো প্রোগ্রাম থেকে বিয়ে বাড়ির প্রোগ্রাম। এমন কোনো মেয়ে বা মহিলা মানুষ পাওয়া যাবে না যিনি মেকাপ করে নিজেকে সাজান না। মেকাপ করলে যে কাউকে অসাধারণ দেখতে লাগে। কিন্তু ঝামেলা হয় তখন যখন মেকাপ তোলার সময় আসে। অনেকে অনেক কিছু ব্যবহার করে মেকাপ রিমুভ করার জন্য। তবে মেকআপ রিমুভার সোপ আপনার ত্বকের যত্নের হতে পারে একটি নিনজা ম্যাজিক। মেকাপ রিমুভার সোপ ব্যবহার করার আগে আমাদের এর উপকারিতা সম্পর্কে জানা উচিত।Makeup Remover সোপ কিমেকাপ রিমুভার সোপ কি আমরা কমবেচি অনেকেই জানিনা। মেয়েরা কমবেশি সবাই ত্বক পরিষ্কার করতে ফেসওয়াশ ব্যবহার করে। কিন্তু ফেসওয়াস দিয়ে গভীর ভাবে ত্বক এর মেকাপ রিমুভ করতে পারে না। এ ক্ষেত্রে মেকাপ রিমুভার সোপ সবচেয়ে বেশি উপকারি। ফেসওয়াস প্রতিদিন ব্যবহার করতে হয় ত্বক পরিষ্কার করার জন্য। কিন্তু মেকাপ রিমুভার সোপ মেকাপ রিমুভ করতে ব্যবহার করা হয়। সেই সাথে এটি ত্বককে ডিপ ক্লিন করতে সাহায্য করে এবং স্কিনের মসৃণতা বজায় রাখে।Makeup Remover Soap ব্যবহারের নিয়মাবলীআমরা ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে জানি। আজকে চলুন জেনে নেই   Makeup Remover Soap কিভাবে ব্যবহার করবো এবং কত বার ব্যবহার করবো ।  মেকাপ রিমুভার সোপ ত্বকে ব্যবহার করার আগে আপনার জানা উচিত যে এই সোপ নিয়মিত ত্বকে ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এই সোপের উপাদান গুলো খুব শক্তিশালী এবং অতিরিক্ত ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কতা সৃষ্টি করে। এই সোপ ব্যবহারের নিয়ম হলঃ-●       প্রথমে আপনার হাত ভালো করে ধুয়ে নিন।●       এরপর একটি কটন প্যাড পানি দিয়ে ভিজিয়ে অল্প পরিমাণে মেকআপ রিমুভার সোপ ডলে নিন। অবশ্য কিছু সোপ কটন প্যাড ব্যবহার না করে সরাসরি ভেজা ত্বকে প্রয়োগ করা যেতে পারে।●       এরপর আপনার মুখের উপর কটন প্যাড দিয়ে আলতো করে ঘসে মেকাপ রিমুভ করুন।●       কটন প্যাডটি সমস্ত মেকআপ দিয়ে কভার না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই পুনরাবৃত্তি করুন।●       এরপর একটি পরিষ্কার, নরম কাপড় নিয়ে হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে আপনার মুখ মুছে ফেলুন।●       এখন পুরো মুখে কটন প্যাড দিয়ে টোনার লাগিয়ে কাজটি শেষ করুন। টোনারটি আপনার ত্বকের pH ব্যালেন্স করে এবং ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে। Makeup Remover সোপ ব্যবহারের উপকারিতামুখে মেকআপ করলে সেই মেকাপ রিমুভ করা অবশ্যই উচিত। কারণ দীর্ঘক্ষণ মেকাপ করার পর তা অপসারণ না করলে তা ত্বকের ক্ষতি করে। আর এ জন্য সবচেয়ে উপকারি হল মেকাপ রিমুভার সোপ ব্যবহার করা। এটি ত্বকের জন্য অনেক ভাল। এর কিছু উপকারিতা রয়েছে তা হল:●        এটি আপনার ত্বকের উপরিভাগ থেকে মেকাপ প্রসাধনী এবং ময়লা ধুয়ে ফেলে। কারণ এগুলো মুখে থাকলে তা জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে যা আপনার মুখের স্কিন কে নষ্ট করে দিতে পারে।●       এটি ব্রণ, লালভাব, ব্ল্যাকহেডস এবং অন্যান্য ধরণের দাগ হওয়ার ঝুঁকি কমায়।●       এটি মৃত কোষ দূর করে সেলুলার পুনর্জীবিত করতে সাহায্য করে।●       সোপটি ম্যাসেজ অ্যাকশনের কারণে ত্বকের মাইক্রোসার্কুলেশনকে উদ্দীপিত করে।●       এটি আপনার ত্বককের কোষ শ্বাস নিতে সাহায্য করে।●       স্কীনের তৈলাক্ত ভাব দূর করে।●       ত্বক সুন্দর, নমণীয় ও  উজ্জ্বল করে আপনাকে করে তুলবে আকর্ষনীয় রূপের অধিকারী।এছাড়াও আপনার মুখ ভালভাবে পরিষ্কার করার মাধ্যমে, আপনি তাজা, টোনড, কোমল এবং ভাল-ময়েশ্চারাইজড স্কিন পাবেন। এমনকি আপনি যদি সামান্য মেকআপ করেন বা একেবারেই না করেন তবুও এটি ব্যবহার করলে অনেক উপকারিতা পাবেন।রাতে কেন Makeup Remover সোপ ব্যবহার করা উচিত?ভাবুন তো এমন কি কোনো দিন আছে যেদিন আপনি বাইরে থেকে খুব ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে বিছানায় শুয়ে পড়েন নি। এই ক্লান্ত শরীরে কারও কি মন চাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে মেকাপ রিমুভ করতে? চাবে না নিশ্চয়।  তবে আপনার মুখের উপর থেকে যদি সমস্ত মেকআপ এক মিনিটেই রিমুভ করতে চান তার কিন্তু একটি উপায় আছে। আর তা হল মেকাপ রিমুভার সোপ ব্যবহার করা। কারণ এটি রাতে ব্যবহার করলে সারারাত আপনার মুখের স্কিন হাইড্রেট থাকে,  সেই সাথে থাকে উজ্জ্বল এবং ময়লা মুক্ত। মেকাপ করার ফলে আপনার ত্বকের উপর যে প্রসাধনী বা ময়লার আস্তরণ পরে রাতে বেলা মেকাপ রিমুভার সোপ ব্যবহার করলে তা আপনার স্কিনের উপরিভাগ পরিষ্কার করে। ফলে আপনার ত্বক জ্বালা হতে রক্ষা পাবে এবং আপনার ত্বক দ্রুত বয়স্ক হওয়া থেকে রেহাই পাবে। এছাড়াও দাগ বিদায় নিবে  এবং ব্রণ, লালভাব, দাগ হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করবে। তাই মেকাপ করলে অবশ্যই রাতে মেকাপ রিমুভার সোপ ব্যবহার করে আপনার ত্বক পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি।উপসংহারমেকআপ পরার পর সবচেয়ে খারাপ দিক কি?  বেশিরভাগই একমত হবেন যে ক্লান্তিকর দিনের শেষে সমস্ত মেকআপ থেকে মুক্তি পাওয়া। এ জন্য আপনি অনেক ধরনের মেকাপ রিমুভার ব্যবহার করতে পারেন। আপনি জেনে অবাক হবেন যে আপনার মেকআপ রিমুভার আপনাকে অনেকগুলো ত্বকের ক্ষতিকারক দিক থেকে বাঁচাতে পারে, যেমন অকাল বার্ধক্য, ব্রেকআউট এবং ত্বকের জ্বালা। আর তাই এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে সঠিক মেকআপ রিমুভার সোপ বাছাই করুন। যেটি শুধুমাত্র আপনার সমস্ত মেকআপকে শুধু এক সাথে মুছে ফেলবে না বরং আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড এবং মসৃণ রাখবে।
Read more