শীতকালে শুষ্ক ত্বকের
যত্ন নেওয়ার কিছু উপায় রয়েছে।এই নিয়মগুলো মেনে চললে ত্বককে কিছুটা ভালো রাখতে পারবেন।
তাই
●
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। শীতকালে
তেষ্টা কম পাওয়ায় অনেকেই পানি কম পান করেন। তবে ত্বককে আর্দ্র রাখতে হলে শরীরে পর্যাপ্ত
পরিমাণে জল প্রবেশ করানো জরুরি। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
●
ত্বক পরিষ্কার করার সময় মৃদু সাবান বা ক্লিনজার
ব্যবহার করুন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে থাকে বলে কঠোর সাবান বা ক্লিনজার ব্যবহার করলে
ত্বকের আর্দ্রতা আরও কমে যেতে পারে। তাই মৃদু সাবান বা ক্লিনজার ব্যবহার করুন।
●
গোসলের পর ত্বক আর্দ্র রাখার জন্য ময়েশ্চারাইজার
ব্যবহার করুন। গোসলের পর ত্বক খোলা থাকলে তা শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই গোসলের পর অবশ্যই
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
●
বাইরে বের হলে ত্বককে আবহাওয়ার ক্ষতিকর
প্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্য সানস্ক্রিন, টুপি, মাফলার ইত্যাদি ব্যবহার করুন।
●
ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক হতে দেওয়া থেকে বিরত
থাকুন। ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে চুলকানি, ফাটল ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক হতে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
●
শীতকালে বাইরে বের হলে ত্বককে ঠান্ডা বাতাস
থেকে রক্ষা করার জন্য গ্লাভস, মোজা ইত্যাদি পরিধান করুন।
●
শীতকালে ত্বকে স্ক্রাব করা এড়িয়ে চলুন।
স্ক্রাব করলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল সরিয়ে ফেলা হয়, ফলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়।
●
শীতকালে ত্বকের জন্য ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার
খাওয়ার চেষ্টা করুন। ভিটামিন ই ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
শীতে ত্বকের যত্ন
শীতকালে আবহাওয়ার কারণে ত্বক স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। এতে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমে যায় এবং ত্বক রুক্ষ, খসখসে এবং চুলকানিযুক্ত হয়ে ওঠে। এছাড়াও, শীতকালে ত্বকে ব্রণ, একজিমা, সোরিয়াসিস ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই শীতকালে ত্বকের একটু বেশি যত্ন নেওয়া জরুরি।
শীতে ত্বকের মসৃণতা ধরে রাখতে যে পণ্য ব্যবহার করবেন
শীতে ত্বকের মসৃণতা ধরে রাখতে কিছু পণ্য
অনেক সাহায্য করে। সেই পণ্যগুলো মধ্যে কিছু পণ্য হল:-
গ্লিসারিন একটি প্রাকৃতিক
উপাদান যা ত্বকের যত্নে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য
করে, ত্বককে নরম ও মসৃণ করে তোলে, ব্রণ ও অন্যান্য ত্বকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য
করে এবং ত্বকের ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তোলে।
অলিভ অয়েল ত্বকের জন্য
আরেকটি ভালো প্রাকৃতিক উপাদান। এটি ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তোলে।
নারকেল তেল:
নারকেল তেল ত্বকের জন্য
খুবই উপকারী। এটি ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের রুক্ষতা দূর করে।
আমন্ড অয়েল:
আমন্ড অয়েল ত্বকের জন্য
খুবই পুষ্টিকর। এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার প্রদান করে এবং ত্বকের বয়সজনিত পরিবর্তন
রোধ করে।
মধু:
মধু ত্বকের জন্য একটি
প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি ত্বকের ক্ষয় রোধ করে এবং ত্বককে সুস্থ রাখে।
ঠান্ডা বাতাসের ফলে ঠোঁট ফেটে যায়। ঠোঁটের সুরক্ষায় পেট্রোলিয়াম
জেলি বা লিপবামের মতো সিম্পল সল্যুশন ব্যবহার করতে পারেন। লিপবাম ঠোঁটে একটি প্রতিরক্ষা
আবরণ তৈরি করে, যার ফলে ঠোঁট ফেটে যায় না
ক্লিনজার
শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে
ত্বক অনেক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই দরকার একটি ভালো মানের ক্লিনজার ব্যবহার করা। শীতকালে এটি ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতে এবং বাড়তি ক্ষতি এড়াতে,
হাইড্রেটিং করতে সাহায্য করে।
ত্বকের শুষ্কতা প্রতিরোধের
জন্য ভালোমানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি।শীতকালে উজ্জ্বল ত্বকের জন্য
ময়েশ্চারাইজিং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ময়েশ্চারাইজার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য
করে। এ ছাড়াও এটি ত্বকের প্রাকৃতিক জেল্লা ধরে রাখে।
শীতে আপনার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ
রাখতে বেস্ট সল্যুশন হচ্ছে বডি বাটার। কেননা বডি বাটার দিনভর আপনার স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড,
হাইড্রেট আর সফট রাখতে সাহায্য করে।
শীতকালে আমাদের অনেকের
ত্বক নিষ্প্রাণ ও রুক্ষ হয়ে পড়ে। এসময় আৃসদের ত্বক চায় একটু আলাদা যত্ন। এই জন্যই আমাদের
শীতে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেয়া উচিত। শীতকালে ঠিক মতো ত্বকের যত্ন না নিলে ত্বকের উজ্জ্বলতা
হারায়, ত্বকের উপরিভাগ কালো হয়ে আসে এবং ত্বক ফেটে যায়। আমাদের ত্বকের জন্য শীতকাল সবচেয়ে রুক্ষ ঋতু। কম
আর্দ্রতা এবং ঠাণ্ডা তাপমাত্রার কারণে আমাদের ত্বক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে, যার ফলে
ত্বকের ক্ষতিও হয় অনেক। এই অবস্থা রোধে শীতে ত্বকের যত্ন নিতে হবে অনেক বেশি।